সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডায়মন্ড হারবার তাঁর পরিবার। এই লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত মানুষের দায়িত্ব তাঁর। তাই রাজ্য সরকার কোনও কারণে বার্ধক্য ভাতা চালু না করতে পারলে, সে দায়িত্ব তিনি নিজেই নেবেন। এদিন তাঁর নিজের লোকসভা কেন্দ্রে ষাটোর্ধ্বদের হাতে বার্ধক্য ভাতা তুলে দিয়ে এ কথাই ঘোষণা করে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার পৈলানের সভা থেকেই কার্যত লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ডায়মন্ড হারবার মডেলের সাফল্য তুলে ধরে বিরোধীদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। সঙ্গে স্পষ্ট করে দেন, যতদিন তিনি বেঁচে আছেন, ডায়মন্ড হারবারের মানুষকে কোনও কিছু নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা থেকে পরিকাঠামোগত উন্নয়ন, সবক্ষেত্রেই যে ডায়মন্ড হারবারই মডেল, তা আরও একবার মনে করিয়ে দেন অভিষেক। সেই সঙ্গে বার্ধক্যভাতা নিয়ে বড়সড় ঘোষণাও করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘৭০ বছর বয়স হলে কি এতটা হাঁটতে পারতাম?’ নবীন-প্রবীণ বিতর্কে মন্তব্য অভিষেকের]
কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলে দেন, “দেশে ১৪০ কোটির মধ্যে আট কোটি মানুষ রয়েছে যাদের বয়স ষাটের বেশি। কেন্দ্র সরকার চাইলে এদের সাহায্য করতে পারে না? তা না করে প্রধানমন্ত্রী বিমান কিনেছে ৮ হাজার কোটি দিয়ে। বিরোধী দলের অনেকে বলছিল কী করে বার্ধক্য দেয়, ইনকাম ট্যাক্স, ইডি নজর রাখবে। কিন্তু আমি যতদিন বেঁচে আছি, মানুষের কাজ আমি করব। তোমার যত ক্ষমতা আছে প্রয়োগ করে আমায় জেলে ঢুকিয়ে দেখাও। যতদিন বাঁচব, আমি আমার এলাকার মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। ৮, ৯, ১০-এর মধ্যে ৭৬ হাজার ১২০ জন সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বার্ধক্য ভাতার টাকা পেয়ে যাবেন। দু-এক মাস নয়। আজীবন পাবেন।”
এরপরই যোগ করেন, “আমার বিশ্বাস রাজ্য সরকার শীঘ্রই বার্ধক্য ভাতা শুরু করবে। আর রাজ্য কোনও কারণে শুরু না করতে পারলে যতদিন আমি বেঁচে আছি, চিন্তা করতে হবে না।” জনসভা থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধেও তোপ তাগতে ছাড়েননি তিনি। বলে দেন, “বাংলায় হেরে গিয়ে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু আমি যতদিন বাঁচব, কাজ করে যাব। এটা আমার দায়িত্ব।”