সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর পর ৩ বার মিললেও এবার 'ফেল' ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তো দূর, এবার এনডিএ শরিকদের সঙ্গে নিয়ে কোনওমতে সরকার গড়েতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিজেপির আসন সংখ্যা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী না মেলায় এবার ভুল স্বীকার করে পিছু হঠলেন প্রশান্ত কিশোর। জানালেন, সংখ্যাতত্ত্বের খেলায় আর কখনও নামবেন না তিনি।
সংবাদ মাধ্যম 'ইন্ডিয়া টুডে'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ভুল মেনে নিয়ে প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) বলেন, 'এ কথা স্বীকার করতে আমার বিন্দুমাত্র দ্বিধা নেই যে বিজেপি যত আসন পাবে বলে আমি জানিয়েছিলাম তা মেলেনি। আমি বলেছিলাম বিজেপি ৩০০-এর কাছাকাছি আসন পাবে। কিন্তু অনুমান ভুল প্রমাণ করে বিজেপি এবার ২৪০ টি আসন পেয়েছে।' একইসঙ্গে পিকে বলেন, 'আমি এটাও বলেছিলাম বিরোধীদের দিক থেকে কোনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। পূর্ব ও দক্ষিণ ভারতেও এবার ভালো ফল করবে বিজেপি। সেদিক থেকে সংখ্যার হিসেবে আমার বক্তব্য অবশ্যই ভুল প্রমাণ হয়েছে, কিন্তু যদি সংখ্যার বাইরে গিয়ে দেখেন আমি একেবারে ভুল বলিনি।'
[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদির, সরকার গঠনের দাবি পেশ এনডিএর]
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন- ‘অব কি বার ৪০০ পার’। ভোটের মাঝে পিকে জানান, ৪০০ আসনের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও শ’তিনেক আসন বিজেপি ঠিকই পাবে।। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমার হিসাব অনুযায়ী বিজেপি আগের বারের সমান আসন পেয়েই ক্ষমতায় ফিরছে। হয়তো সামান্য বেশি কিছু আসন পেতে পারে। পশ্চিম বা উত্তর ভারতে বিজেপির আসন সংখ্যায় খুব বেশি হেরফের হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারতে এবার গেরুয়া শিবির বাড়তি সমর্থন পাচ্ছে।” পিকের দাবি ছিল, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্র, কেরল এবং তামিলনাড়ুতে বিজেপি নিজেদের উপস্থিতি এবার প্রবলভাবে জানান দিচ্ছে গেরুয়া শিবির। এমন পূর্বাভাসের কারণ কী? পিকের জবাব ছিল, “মোদি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রচণ্ড ক্ষোভ রয়েছে, এমন কথা দেশের কোনও প্রান্ত থেকেই শুনিনি।”
[আরও পড়ুন: কঙ্গনাকে চড়, অভিযুক্ত CISF কনস্টেবলকে সম্বর্ধনা দেবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা]
তবে ভোটপূর্বে প্রশান্ত কিশোরের ভবিষ্যদ্বাণী, নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর দেখা যায় পুরোপুরি উলটে গিয়েছে। ৩০০ আসন তো দূর ২৪০ আসনে আটকে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। এনডিএর মোট আসন ২৯২টি। অন্যদিকে, বাংলায় এবার বিজেপির আসন বাড়বে বলেও জানিয়েছিলেন পিকে। সেখানেও দেখা গিয়েছে বিজেপির আসন সংখ্যা ১৮ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১২ তে। তৃণমূল পেয়েছে ২৯ টি আসন। সংখ্যাতত্ত্বে সবটা গোলমাল করে এবার ভুল স্বীকার করে ব্যাকফুটে ভোটকুশলী।