সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মিকি আর্থার থেকে আব্দুল রজ্জাক। পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত মানুষদের দাবি, ভারতের অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্যই নাকি পাক দল নাকি চলতি বিশ্বকাপে পারফর্ম করতে পারেনি। যদিও বাবর আজম এমনটা মনে করেন না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ইডেন গার্ডেন্সে নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে নামার আগে ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আতিথিয়েতার প্রশংসা করলেন পাক অধিনায়ক।
আর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইডেন গার্ডেন্সের বাইশ গজে নামবে পাকিস্তান। বিশাল বড় কিছু অঘটন ঘটাতে না পারলে শাহিন শাহ আফ্রিদি-মহম্মদ রিজওয়ানদের এবারের কাপ যুদ্ধ থেকে বিদায় নেওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর আগে শুক্রবার অর্থাৎ ১০ নভেম্বর সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, “ভারতে এসে আমরা অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। সমর্থনও পেয়েছি। শুধু আমি নয়, গোটা দলই ভালোবাসা ও সমর্থন পেয়েছে। ভারতে আমরা প্রথমবার এসেছি। যত দ্রুত সম্ভব এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে এগিয়ে যাব।”
[আরও পড়ুন: ধোনির বিশ্বজয়ী দল নয়, রোহিতের ভারতই সবচেয়ে শক্তিশালী ওয়ান ডে টিম! বলছেন ভারতের উইকেটরক্ষক]
জোড়া ম্যাচ জিতে চলতি কাপ যুদ্ধের অভিযান শুরু করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের কাছ হারের পরেই সব হিসাব বদলে যায়। এর পর অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও হেরেছিল পাকিস্তান। হারের হ্যাটট্রিক করার সেই চাপ কাটাতে পারেননি ইমাম-উল-হকরা। বাবর সেটা বুঝতে পেরেছেন। তাই যোগ করলেন, “আমাদের ওপর প্রচুর প্রত্যাশা ছিল। আমরা দলের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিকল্পনা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারিনি। আমাকে হাফসেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরি করতে হবে, এরকম কোনও লক্ষ্য থাকে না। ভালো ব্যাটিং করে দলকে জেতানোই ছিল লক্ষ্য। আমি মন্থর ব্যাটিং করেছি, নাকি আগ্রাসী তা কিন্তু নির্ভর করে পরিবেশ ও পরিস্থিতির ওপর। আমি দলের প্রয়োজন অনুযায়ী খেলি। অবশ্য মাঝের ওভারে রান করা নিয়ে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। আবার পুরনো বলে ব্যাটারদের সমস্যা হচ্ছে। সব মিলিয়ে টুর্নামেন্টটা ভালো করে শেষ করতে চাই।”
এমনকি একাধিক প্রাক্তন পাক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন বাবর। তিনি বলেছেন, “সবারই আমাকে নিয়ে কোনও না কোনও মতামত রয়েছে। আমার এই কাজ করা উচিত, ওই কাজ করা উচিত। যদি কেউ সত্যিই আমাকে কোনও পরামর্শ দিতে চায় তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমার নম্বর তো সবার কাছেই রয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা, সবাই টিভিতে জ্ঞান দিতে বেশি পছন্দ করে। তাই কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে না।”
[আরও পড়ুন: ‘আশা করি বিরিয়ানি-আতিথেয়তা উপভোগ করেছো, এবার বাড়ি যাও’! পাকিস্তানের বিদায়ে বীরুর ট্রোলিং]
শোনা যাচ্ছে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে তাঁর চাকরি চলে যেতে পারে। কাপ যুদ্ধে ভরাডুবির জন্য হারাতে পারেন অধিনায়কত্ব। যদিও এই ব্যাপারটা নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ পাক অধিনায়ক। তাঁর দাবি, “আবার বলছি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া কিংবা নেতৃত্ব চলে যাওয়া নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নই। পরিস্থিতি, পরিবেশ অনুযায়ী আমরা সেরা দলকেই খেলানোর চেষ্টা করি। তাতে যে সব সময় সফল হই তা নয়। কখনও সফল হয়েছি, আবার কখনও হইনি। আর আমি নেতৃত্বের বিষয়ে বলতে পারি, এই ম্যাচের পর বা পাকিস্তান ফিরে গেলে সেটা নিয়ে কথা বলা যেতে পারে। আপাতত আমাদের ফোকাস এই ম্যাচে।”
বাবর যাই বলুন। তাদের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিমধ্যেই পাকিস্তান উত্তাল। পিসিবি-র অন্দরমহলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমন প্রেক্ষাপটে দেশে ফিরে বাবর তাঁর চাকরি বাঁচাতে পারেন কিনা সেটাই দেখার।