দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩১১-৭ (কুইন্টন ১০৯, মার্করাম ৫৬)
অস্ট্রেলিয়া: ১৭৭-১০ (লাবুশেন ৪৬, স্টার্ক ২৭)
দক্ষিণ আফ্রিকা ১৩৪ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ট্রেলিয়ার (Australia) হলটা কী! বিশ্বকাপে (ICC ODI World Cup 2023) দুটো ম্যাচ খেলে ফেললেন প্যাট কামিন্সরা। কিন্তু এখনও জয়ের দেখা নেই। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হার মেনেছিলেন অজিরা। বৃহস্পতিবার লখনউয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মাটি ধরাল অস্ট্রেলিয়াকে। অজিরা দুটো ম্যাচ হেরে গেলেও, প্রোটিয়া ব্রিগেড কিন্তু দুটো ম্যাচেই জয় পেয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রোটিয়া ব্রিগেডের কাছে ১৩৪ রানে হার মানল অস্ট্রেলিয়া।
সব দিক থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে এবার বিবর্ণ দেখাচ্ছে। তাঁদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে পাহাড়প্রমাণ রান করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিংও হতশ্রী হয়েছে অজিদের। ফিল্ডিংও ভুগিয়েছে ব্যাগি গ্রিনদের। ৬টি ক্যাচ ছেড়েছেন তাঁরা। দিল্লি অবশ্য এখনও অনেক দূর! বিশ্বকাপের আরও ম্যাচ বাকি রয়েছে। অজিরা কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? সময় এর উত্তর দেবে।
[আরও পড়ুন: ODI World Cup 2023: শার্দূলের গলায় সোনার মেডেল পরিয়ে দিলেন কোহলি, কিন্তু কেন?]
কুইন্টন ডি ককের শতরান, মার্করামের হাফ সেঞ্চুরির সৌজন্যে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭ উইকেট হারিয়ে তোলে ৩১১ রান। এই রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে অস্ট্রেলিয়া। তিনশোর উপরে রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে হলে পার্টনারশিপ গড়ার দরকার হয়। অস্ট্রেলিয়া কিন্তু কোনওটাই করতে পারল না। নিয়মিত উইকেট পড়ল, পার্টনারশিপ হল না, প্রোটিয়া বোলিংয়ের বিরুদ্ধে কেউই সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারলেন না। দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতেই গলদঘর্ম অবস্থা হল অজি ব্যাটারদের। দলের মধ্যে লাবুশেন সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থামল ১৭৭ রানে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে শেষ ২০ মাস সেঞ্চুরি ছিল না ডি ককের। ১৮ ইনিংসে সেঞ্চুরি না পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেট কিপার-ব্যাটার বিশ্বকাপের দুটো ম্যাচে সেঞ্চুরি পেলেন। ডি কক থামলেন ১০৯ রানে। মার্করাম ব্যক্তিগত ১ রানে ক্যাচ দিয়েছিলেন। কামিন্স সেই ক্যাচ ছাড়েন। শেষমেশ মার্করাম থামেন ৫৬ রানে। ওপেনার বাভুমা ও ডি কক ওপেনিং জুটিতে ১০৮ রান করেন। বাভুমা ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফেরেন। বাকিরাও অবদান রাখেন। রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা এলেন আর গেলেন। লাবুশেন ও মিচেল স্টার্ক উইকেট পড়ার গতি আটকে রেখেছিলেন খানিকটা। ম্যাচ আরও দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেন দুজন। খেলা থেকে অনেক আগেই ছিটকে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচে আর ফেরা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে।