সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফিজয়। ১৩ বছর পর বিশ্বজয়। ১৭ বছর পর ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে বিশ্বসেরা। মাঝে বারবার ব্যর্থতা এসেছে। তীরে এসে তরী ডুবেছে একাধিকবার। অবশেষে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য! তবে এ সাফল্য একদিনের নয়। এ সাফল্য হার না মানা মানসিকতার। বিশ্বজয়ের পর ভারত অধিনায়কের মুখে শোনা গেল সে কথাই।
২০২১ টি-২০ বিশ্বকাপে লজ্জাজনক হারের পরই রোহিত শর্মা বুঝে গিয়েছিলেন, সীমিত ওভারে যে ধরনের ক্রিকেট ভারত খেলছে সেটা বদলাতে হবে। আরও ভয়ডরহীন, আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে হবে। নিজে অধিনায়ক হওয়ার পর সেই প্রক্রিয়া শুরুও করেন। সাফল্য একদিনে আসেনি। এরপর একাধিক টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফর্ম করেও ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর পর চোখের জল ফেলেছে গোটা দেশ। ভারতীয় দলের অধিনায়কের মুখে ৩-৪ বছরের সেই কঠিন সময়ের কথাই উঠে এল বিশ্বজয়ের পর।
[আরও পড়ুন: মানুষ পাঠানোর আগে চাঁদ থেকে আনা হবে পাথর, নয়া অভিযান ঘোষণা ইসরোর]
ফাইনাল জেতার পর (ICC T20 World Cup Final 2024) রোহিত বলে গেলেন, "গত ৩-৪ বছর আমরা কীসের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি বলা মুশকিল। সত্যি বলতে, দল হিসাবে, প্রত্যেকে ক্রিকেটার হিসাবে চরম পরিশ্রম করেছি। আজকের এই সাফল্যের পিছনে বহু পরিশ্রম রয়েছে। আজ আমরা যেটা পেলাম সেটা শুধু আজকের সাফল্য নয়। গত ৩-৪ বছর ধরে আমরা যে পরিশ্রমটা করেছি, এটা তারই প্রতিফলন।" আক্ষেপের সুরে ভারত অধিনায়ক বলে গেলেন, "গত ৩-৪ বছরে আমরা অনেক কঠিন এবং বড় ম্যাচ খেলেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা লড়াইটা শেষ করেছি ভুলভাবে। তাতেই বুঝতে পেরেছি আমাদের কী করা উচিত।"
[আরও পড়ুন: ভুয়ো ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়া! মুম্বই পুলিশের জালে চক্রের পাণ্ডা নৌসেনা কর্তা]
এদিনের ম্যাচেও একসময় খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছিল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা প্রায় জিতে নিয়েছিল ম্যাচ। কিন্তু সেখান থেকে প্রত্যাবর্তন ভারতের। রোহিত কৃতিত্ব দিলেন মানসিকতাকে। ভারত অধিনায়কের কথায়, "আমাদের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ম্যাচ। কিন্তু দল হিসাবে আমরা বেশি করে জিততে চাইছিলাম। আমরা এই ধরনের টুর্নামেন্ট জিততে চেয়েছিলাম। কিন্তু এর নেপথ্যে অনেক পরিকল্পনা আছে। অনেকে একত্রিত হয়ে কাজটা করতে পেরেছি।" বেশ তৃপ্ত শোনাল টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ককে।