আলাপন সাহা: রাহুল দ্রাবিড় (Rahul Dravid) আর লোকেশ রাহুলের (KL Rahul) মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। জন্মগতভাবে দু’জন কর্নাটকী। দু’জনই বেশ চুপচাপ। খুব বেশি কথা-টথা বলেন না। কুড়ি বছর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) যেভাবে রাহুলকে উইকেট-কিপিংয়ের ভূমিকা পালন করতে হয়েছিল। এবার ঠিকই একই কাজটা করতে হচ্ছে কেএল-কে। ঘটনাচক্রে এই টিমের কোচের ভূমিকায় সেই রাহুল শরদ দ্রাবিড়।
’০৩ বিশ্বকাপে টিমের ব্যালান্সের কথা ভেবে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিপিংয়ের গুরুদায়িত্বটা দিয়েছিলেন রাহুলকে। কুড়ি বছর পর ঠিক একই কারণে সেই দায়িত্বে নিয়ে আনা হয়েছে আরেক রাহুলকেই। কেএলের অবশ্য আগে উইকেটকিপিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে। শোনা গেল, ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট শুরুর দিকে খানিকটা দুশ্চিন্তায়ও ছিল। কারণ কেএলও চোট সারিয়ে ফিরেছিলেন। তবে গোটা বিশ্বকাপজুড়ে রাহুল যেরকমভাবে উইকেটকিপিং করে চলেছেন, তার সর্বত্র প্রশংসা চলছে।
[আরও পড়ুন: শুভমানের টানেই আহমেদাবাদে শচীনকন্যা সারা তেণ্ডুলকর?]
জানা গেল, কেএলের এহেন সাফল্যের পিছনে বিশেষ এক ক্লাস রয়েছে। রাহুলকে যে বিশ্বকাপে উইকেটকিপারের ভূমিকায় ভাবা হচ্ছে, সেটা তাঁকে আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। অস্ত্রোপচারের পর এনসিএ-তে ভারতীয় তারকার রিহ্যাব-পর্ব চলেছিল বেশ কিছুদিন। সেটা শেষ হওয়ার পরই নেটে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন। একইসঙ্গে নিয়মিতভাবে চলত উইকেটকিপিংয়ের প্রস্তুতি। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের তরফ থেকে নাকি বিশেষ কিছু স্কিল সেট করে দেওয়া হয়েছিল।
ভারতীয় ক্রিকেটমহলে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এরকম অনেক প্র্যাকটিস সেশন গিয়েছে, যেখানে কেএল নেটে ব্যাটিং করতেন না, শুধু ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে উইকেটকিপিং করে যেতেন। চোট সারিয়ে ফেরার পর পঞ্চাশ ওভার কিপিং করতে যাতে অসুবিধে না হয়, তার জন্য বিশেষ স্ট্রেংথ অ্যান্ড কন্ডিশনিং ট্রেনিংও থাকত। এনসিএ-র ফিল্ডিং কোচ মুনিশ বালির তত্ত্বাবধানেই ট্রেনিং চলত কেএলের। এমনকী দ্রাবিড়ও খোজখবর নিতেন। আশা করি বুঝতেই পারছেন, কিপার রাহুলের এহেন উত্তোরণটা একেবারেই রাতারাতি হয়নি। তার নেপথ্যে রয়েছে ওই বিশেষ ক্লাসও।