সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানটান নাটকের পর প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে বিতাড়িত হয়েছেন ইমরান খান (Imran Khan)। শেষমুহূর্ত পর্যন্ত মরিয়া চেষ্টা চালিয়েও ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেননি তিনি। ‘নিরপেক্ষ সেনাবাহিনী’ ও মারমুখী বিরোধীদের চাপে বেকায়দায় পড়ে যান রাওয়ালপিন্ডির ‘ফলেন অ্যাঞ্জেল’। তবে এখনও হাল ছাড়তে নারাজ তিনি। এবার শাহবাজ শরিফের ‘বিদেশি মদতপুষ্ট সরকার’ উৎখাত করতে বিদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন ইমরান।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের মিসাইল ফ্যাক্টরি গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, কিয়েভে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণের হুমকি মস্কোর]
শুক্রবার বিদেশে থাকা পাকিস্তানি নাগরিকদের উদ্দেশে বার্তা দেন ইমরান। তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করা হয় ভিডিও মেসেজটি। এদিন নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের জন্য আর্থিক অনুদান চেয়ে প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছে আবেদন জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ইমরানের বক্তব্য, বর্তমানে পাকিস্তানের ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকার বিদেশি মদতপুষ্ট। ওই সরকার আসলে ভিনদেশিদের (পড়ুন আমেরিকা) কথা মতো চলছে। তাই অনুদানের অর্থে শরিফের সরকারকে উৎখাত করবেন তিনি। একইসঙ্গে দ্রুত নির্বাচনের দাবিও করেন তিনি। এদিন, ভিডিও বার্তায় ফের একবার আমেরিকার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ইমরান। ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ তত্ত্বে অনড় থেকে তাঁর বক্তব্য, আমেরিকার মদতে শাহবাজ শরিফের সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এখন তোপ দাগলেও প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ওয়াশিংটনের মন পেতে চেষ্টার খামতি রাখেননি তিনি। তবে বিগত কয়েকমাসে চিনের সঙ্গে দহরম মহরম অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল ইমরানের। ভারসাম্যের এক জটিল খেলা খেলতে গিয়ে আমেরিকার রোষে পড়ে যান তিনি। তাছাড়া, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর দিনই রাশিয়া গিয়ে নিজের কবর নিজেই খুঁড়েছেন ইমরান। একইসঙ্গে, আইএসআই প্রধান নিয়োগ নিয়ে পাক সেনাপ্রধান কমার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে যে ঠান্ডা লড়াই শুরু করেছিলেন ইমরান সেই মূল্যও দিতে হয়েছে তাঁকে।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইমরানের বিদেশি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব খারিজ করে দিয়েছে পাক সেনাবাহিনী। পাক সেনার মুখপাত্র বাবর ইফতিকার জানিয়েছেন, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যূত করতে কোনও বিদেশি শক্তি কাজ করেনি। আর আস্থাভোটে সেনাবাহিনীর কোনও হাতও ছিল না। সম্প্রতি ইমরান খান ক্ষমতায় থাকাকালীন পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে একটি হুমকি চিঠি নিয়ে আলোচনা হয়। যে চিঠি আমেরিকার পার দূতাবাসে পাঠিয়েছিল কেউ বা কারা।আর তা নিয়েই সরব হয়েছিলেন ইমরান।