সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan)। ফের ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালেন তিনি। নিজেকে দাবি করলেন কাশ্মীর এবং কাশ্মীরিদের ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ হিসাবে। সেই সঙ্গে দু’দেশের সম্পর্কের অবনতির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এবং আরএসএসকে বিঁধলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
আসলে সামনেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir) নির্বাচন। ভারতের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও আগামী ২৫ জুলাই নিজেদের দখলে থাকা কাশ্মীর ভুখণ্ডে নির্বাচন করছে ইমরান সরকার। সেই নির্বাচনের জন্য প্রচারে গিয়েই পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, সমস্ত আন্তর্জাতিক ফোরামে তিনি কাশ্মীরিদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। আর পাকিস্তান সমস্ত ফোরামেই কাশ্মীরিদের কথা বলবে। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার কাশ্মীরবাসীর বৈধ লড়াইয়ে তাঁদের পাশে আছে। পাক প্রধানমন্ত্রী এদিন নিজের ভাষণে স্পষ্টত উল্লেখ করেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্টের পর কাশ্মীরবাসীর উপর ‘অত্যাচার’ বেড়ে গিয়েছে। তাঁর বক্তব্য, মোদি সরকার ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর লাগামহীন অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়তে হচ্ছে কাশ্মীরিদের। বস্তুত, এর আগে একাধিক আন্তর্জাতিক ফোরামে ৩৭০ ধারা বাতিল এবং কাশ্মীরবাসীর উপর অত্যাচারের ভুয়ো কাহিনী নিয়ে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে এসেছে পাকিস্তান (Pakistan)। কোথাওই সেভাবে সুবিধা করে উঠতে পারেননি ইমরান খানরা। ভারত সরকার স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীর এবং ৩৭০ ধারা দুটোই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আর এতে বাইরের কোনও শক্তির হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না।
[আরও পড়ুন: IED বিস্ফোরণের জের, পাকিস্তানে বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করল China]
এদিন কাশ্মীর ছাড়াও ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে ভারত আরএসএস (RSS) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তোপ দেগেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরান খানের দাবি, অন্য দেশ তো বটেই। আরএসএসের আদর্শ ভারতের জন্যও বিপজ্জনক। কারণ, তারা শুধু মুসলিমদের আক্রমণ করে না। মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিস্টান, শিখ এমনকী নিম্নবর্ণের হিন্দুদেরও আক্রমণ করে। কারণ, RSS এদের দ্বিতীয় সারির নাগরিক মনে করে। ইমরান খানের দাবি,পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই সভ্য প্রতিবেশীর মতো বসবাস করতে ইচ্ছুক। কিন্তু ভারত এবং পাকিস্তানের সুসম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় আরএসএসের আদর্শ।