সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতির পরে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ উঠল ইমরান খানের (Imran Khan) বিরুদ্ধে। ফের গ্রেপ্তারির মুখে পড়তে চলেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তবে লাগাতার অভিযোগে বিদ্ধ হয়েও দলীয় কর্মীদের একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করার ডাক দিয়েছেন তিনি।
ইমরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে উসকে দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন তিনি। সেই সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ নেতাদের জেলে ভরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে, এই দাবি করে আদালত এবং পুলিশের বিরুদ্ধে মন্তব্য করছেন ইমরান। প্রসঙ্গত, ইমরান এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে আগেও বেশ কয়েকটি দেশদ্রোহিতার মামলা রুজু করা হয়েছিল।
প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী গ্রেপ্তার (Imran Khan Arrest) হতে পারেন, এই আশঙ্কা করেই ইমরানের বাড়ির সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন পিটিআই সমর্থকরা। যদি তাঁদের নেতা গ্রেপ্তার হন, তাহলে জোর করে দেশের সরকার উৎখাত করে দেওয়া হবে বলে দাবি করেছেন পিটিআই সমর্থকরা। শনিবার সকালে ইমরানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসদমন আইনে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কর্মীরা যেন ইমরানের বাসভবনের সামনে জড়ো হন, সেই মর্মে দলের নেতা ফাওয়াদ চৌধুরীও ডাক দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: তাইওয়ানের জলসীমা পেরল চিনা যুদ্ধবিমান, স্বশাসিত দ্বীপে ফের সফর মার্কিন প্রতিনিধির]
ইমরানের ঘনিষ্ঠ শাহবাজ গিলের উপরে অত্যাচার চালানো হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বিচারক জেবা চৌধুরী এবং ইসলামাবাদ পুলিশের প্রধান আলি জাভেদকে হুমকি দিয়েছেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। পিটিআইয়ের কর্মী সমর্থকদের আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই ইমরানের বাড়ির সামনে বিশাল পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের নানা প্রান্ত থেকে যেন ইমরানের বাসভবনে পৌঁছতে না পারেন, সেই জন্য সংশ্লিষ্ট রাস্তাগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলা ওই অঞ্চলের আলোও নিভিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই ইমরানের সভাগুলির লাইভ টেলিকাস্ট বন্ধ করে দিয়েছে পাক সরকার। কেবলমাত্র রেকর্ড করা বক্তৃতা দেখানো যাবে,প্রয়োজন পড়লে কাটছাঁট করে দেওয়া হতে পারে ইমরানের বক্তব্য। তাছাড়াও অবৈধ তহবিল মামলায় বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। দু’টি নোটিস পাঠানোর পরও সেদেশের শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ’র কাছে হাজিরা দেননি তিনি। ফলে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। দুরকমের অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান গ্রেপ্তারি এড়াতে পারেন কিনা, সেদিকেই নজর পাক রাজনৈতিক মহলের।