সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনের আগেই ফের ধাক্কা ইমরান খানের (Imran Khan)। সাইফার মামলায় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ১০ বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের (Pakistan) আদালত। শুধু ইমরান নয়, কারাদণ্ড পেয়েছেন তাঁর মন্ত্রিসভার বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিও। দেশের গোপন তথ্য ফাঁস করার অভিযোগেই এই সাজা ঘোষণা করেছে বিশেষ পাক আদালত।
একাধিক মামলার জেরে ইতিমধ্যেই জেলবন্দি রয়েছেন ইমরান। কিন্তু সাইফার মামলায় গত মাসেই তাঁকে জামিন দিয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। সাইফার মামলায় বিশেষ আদালতে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। যদিও এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রথম থেকেই তোপ দেগেছিলেন ইমরান। পরে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট জানিয়ে দেয়, গোটা তদন্ত প্রক্রিয়াটাই ভুল ছিল।
[আরও পড়ুন: সমুদ্রে জলদস্যুদের কবলে জাহাজ, যুদ্ধ করে ১৯ পাকিস্তানিকে উদ্ধার করল ভারতীয় রণতরী]
কিন্তু নতুন বছরে নতুন করে অস্বস্তিতে পড়লেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী। পাকিস্তানের বিশেষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ গোপন নথি ফাঁস করেছেন ইমরান। তাঁর সহযোগী ছিলেন বিদেশমন্ত্রী কুরেশিও। সেই অপরাধেই ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করতে পারে ইমরানের দল।
কী এই সাইফার মামলা? প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে আমেরিকার ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগ ছিল ইমরানের। আর সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শনও করেন। সেই নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও ইমরানের দাবি, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা সাইফার অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে নারাজ পাক আদালত।