সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খানের (Imran Khan) খারাপ সময় যেন আর কাটছেই না। ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন পাকিস্তানের (Pakistan) প্রধানমন্ত্রী। এবার সেদেশের সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল ইমরান প্রশাসনকে। শীর্ষ আদালত কার্যত জানিয়ে দিল দেশ চালানোর ‘যোগ্যতা’ নেই ইমরানের!
সোমবার একের পর এক অভিযোগে বিদ্ধ হতে হল ইমরান সরকারকে। একটি স্থানীয় নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালত তুলে আনে জনগণনার বিষয়টিও। বিচারপতি কাজি ফইজ ইসাকে বলতে শোনা যায়, ”জনগণনার ফলাফল প্রকাশ করা কি সরকারের অগ্রাধিকার নয়? তিনটি প্রদেশে সরকারে থাকার পরেও কাউন্সিল নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না!” এরপরই কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ”হয় এই সরকার দেশ চালাতেই জানে না, অথবা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।”
[আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্ত শ্রীলঙ্কা, রাষ্ট্রসংঘে ভোটাভুটির আগে ভারতের ‘সাহায্যপ্রার্থী’ কলম্বো]
এদিকে লাহোর হাই কোর্টে নিগৃহীত হতে হয়েছে ইমরান খানের বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিলকে। তাঁকে ডিম ছুঁড়ে মারা ও কালি ছিটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ। ঘটনার পরে শাহবাজ অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা ইমরান খানের যোগ্য সহচর। তাই তাঁরা বদলার পথে যাবেন না। এমনিতেই গত অক্টোবর থেকে বিরোধীদের প্রতিবাদ আন্দোলনের ধাক্কায় ক্রমশ পিছু হটতে শুরু করেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে সম্প্রতি বিরোধী ‘মহাজোট’-কে প্রবল ধাক্কা দিয়ে আস্থা ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। যার ফলে আপাতত পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা কিছুটা কমবে বলেই মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তবে ইমরানের উপর থেকে চাপ কমার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এদিন সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পরে সেই চাপ আরও বাড়ল। সম্প্রতি নিজের দেশে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে ইমরান বলেছিলেন, পাকিস্তানের থেকে অনেক বেশি উন্নত দেশ ভারত। দুর্নীতিতে ডুবেই শেষ হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদের উন্নয়নের আশা।