সুকুমার সরকার, ঢাকা: ইদ ও পয়লা বৈশাখের ছুটি। তার পর স্কুল খোলার কথা থাকলেও তীব্র গরমে বাড়তি ছুটি দেওয়া হয়েছিল। যদিও এখনও তাপপ্রবাহ কমেনি, তা সত্ত্বেও অবশেষে রবিবার বাংলাদেশের (Bangladesh) সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে গেল। এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানান, পাঁচ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির উপরে। সেখানকার স্কুল, কলেজ বন্ধ। কিন্তু তার জন্য গোটা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখা যুক্তিসঙ্গত নয়। শুধুমাত্র ঢাকার পরিস্থিতি বিবেচনায় গোটা দেশের জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়াও ঠিক নয় বলে মনে করেন তিনি।
রবিবার বিভিন্ন স্কুলগুলিতে ছোটদের পৌঁছে দিয়েছেন অভিভাবকরা। স্কুলে ঢোকার মুখে তাঁরা বাচ্চাদের হাতে ফলের রস, ওআরএসের (ORS) প্যাকেট দিয়ে দিয়েছেন। বারবার করে তাদের বলা হয়েছে, ক্লাসরুমের বাইরে বেরিয়ে যেন খেলাধুলো না করে। তাহলেই তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকবে। অনেক অভিভাবক আবার এই গরমে (Hot Summer) স্কুল খোলায় আপত্তিও তুলেছেন। প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়াদের সমস্যা আরও বেশি। প্রথম দিন স্কুলে আসার পরই তারা বাড়ি চলে যেতে চাইছে বলে জানাচ্ছেন শিক্ষকরা। গরম থেকে তাদের সুস্থ রাখতে স্কুলগুলিতে বাড়তি পানীয় জলের (Drinking water) ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং নিয়ম করে তা খুদে পড়ুয়াদের খাওয়ানো হচ্ছে। যদি স্কুলে পঠনপাঠনের সময় কিছুটা কমানো যায়, সেই ভাবনা চলছে।
[আরও পড়ুন: পুরুলিয়াকে টেক্কা বারাকপুরের! মে মাসে আরও চড়বে পারদ, ৭ জেলায় লাল সতর্কতা]
স্কুল খোলা নিয়ে অবশ্য ভিন্নমত পোষণ করেছেন বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) মহিবুল হাসান চৌধুরী। তাঁর মতে, ''আমাদের শিক্ষার্থীদের শেখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন কারিকুলামের কাজ চলছে। বাস্তব দিক ভেবে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর ঢাকা (Dhaka) শহরের তাপমাত্রাই তো গোটা দেশের তাপমাত্রা নয়। কয়েকটি জেলায় তাপমাত্রা যদি অসহনীয় হয়ে যায়, তাহলে বিদ্যালয় সেখানে নিজস্ব পদ্ধতিতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।'' ইতিমধ্যে প্রবল গরমে স্কুলে বাড়তি ছুটি দেওয়ায় ১০ দিন নষ্ট হয়েছে। তাই রবিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যুক্তিযুক্ত মনে করেছে সরকার।