সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্বাভাসই সত্যি হতে চলেছে। ফরাসি দেশে অতি দক্ষিণপন্থীদের উত্থান। নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডের পর নিজেদের জয়ী বলে দাবি করল মারিন লি পেনের ন্যাশনাল র্যালি পার্টি (NR)। অবস্থা সঙ্গীন মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর। এবার প্রেসিডেন্টের কুর্সি তাঁকে ছাড়তেই হচ্ছে। যদিও আগামী ৭ জুলাই চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ্যে আসবে। তবে প্রথম দফার ফলাফলেই ইঙ্গিত স্পষ্ট। দক্ষিণপন্থী লে পেনের দল ক্ষমতায় এলে দেশে ব্যাপক অশান্তির আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই কোথাও কোথাও অশান্তি শুরু হয়ে গিয়েছে। চলতি মাসে প্যারিসে বসছে অলিম্পিকের (Paris Olympic) আসর। তার নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা বাড়ছে।
গত মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (European Parliament) নির্বাচনে ম্যাক্রোঁর পতনের ইঙ্গিত ছিল। তাতে পরাজিত হয়ে দেশে আগাম নির্বাচন ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তার প্রথম রাউন্ডের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট নিজেদের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়েছে অতি দক্ষিণপন্থী লে পেনের দল। আর ২১-২২ শতাংশ ভোট পেয়ে ম্যাক্রোঁর (Emmanuel Macron) দল চলে গিয়েছে তৃতীয় স্থানে। চূড়ান্ত ফলাফল বোঝা যাবে ৭ জুলাইয়ের পর। তবে লি পেনের (Marine Le Pen) দাবি, জয় হয়েই গিয়েছে। তাঁরাই সরকার গড়বেন। প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, সেই নামও জানিয়েছেন পেন। সমস্ত গতিপ্রকৃতি দেখে একথা স্পষ্ট যে ফ্রান্সে রাজনৈতিক পালাবদল নিশ্চিত, যা ইউরোপের (Europe) সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে।
[আরও পড়ুন: IPC অতীত, কার্যকর ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, দিল্লিতে নয়া আইনে দায়ের প্রথম FIR]
এদিকে, অতি-দক্ষিণপন্থীরা (Far right) জয়ের দাবিতে উল্লাস শুরু করতে সে দেশের ইতিউতি অশান্তির আঁচ ছড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রাজধানী শহর প্যারিসের পথে নেমে এসেছেন বিরোধীরা। শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের খবর মিলেছে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলা হয়েছে। আর এধরনের ঘটনা প্যারিসের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হবে প্যারিস অলিম্পিক। ছবি-কবিতার শহরে বসছে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আসর। তার আগে এ ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতায় চিন্তা বাড়ছে সব মহলের। এই মুহূর্তে ফ্রান্সের (France) ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সকলে।