সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকাশ্যে এসেছে জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’র রিপোর্ট। আর্কিয়োলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার (ASI) রিপোর্ট বলছে, বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতর হিন্দু দেবদেবীদের মতো চেহারার মূর্তি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। আর এর পর থেকেই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। কারণ এহেন রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে মসজিদ কমিটি।
এএসআইয়ের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, হনুমান, গণেশ এবং নন্দীর মতো মূর্তি জ্ঞানবাপীর অনন্দে দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অসম্পূর্ণ শিবলিঙ্গের অস্তিত্বও পাওয়া গিয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জ্ঞানবাপীতে পাওয়া বেশ কয়েকটি ছবিও তুলে ধরেছে। এই রিপোর্ট সামনে আসতেই সরব হিন্দু পক্ষ। তাদের তরফে বিষ্ণুশংকর জৈন দাবি করেন, জ্ঞানবাপী থেকে যে সব দেবদেবীর ভাঙা মূর্তি পাওয়া গিয়েছে, তাতেই প্রমাণ হয় যে পুরনো মন্দির ভেঙে তার উপরই মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি বনাম বিচারপতি, বেনজির সংঘাতে সুপ্রিম হস্তক্ষেপ]
সমীক্ষা রিপোর্টে আরও উল্লেখ রয়েছে যে এখান থেকে পুরনো মুদ্রা এবং নুড়িপাথর পাওয়া গিয়েছে। যেখানে পার্সি ভাষার উল্লেখ রয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বিষ্ণুশংকর বলছেন, এই সব বিষয়গুলিই প্রমাণ করে যে ১৭ শতাব্দীতে মোঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলেই মন্দির ভেঙে মসজিদ করা হয়েছিল।
যদিও এএসআইয়ের রিপোর্টকেই চূড়ান্ত বলে ধরে নিতে রাজি নয় মুসলিম পক্ষ। বরং তারা এই রিপোর্ট নিয়ে সন্দীহান। অঞ্জুমান আঞ্জামিয়া (জ্ঞানবাপী) মসজিদ কমিটির তরফে আখলাখ আহমেদ দাবি করেন, এর আগে অ্যাডভোকেট কমিশনের যা পর্যবেক্ষণ ছিল, এএসআই তার চেয়ে নতুন কিছুই পায়নি। শুধু নতুন করে সমস্ত মাপঝোপের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে মাত্র। মসজিদ কমিটির সম্পাদক মহম্মদ ইয়াসিনের দাবি, “এটা একটা রিপোর্টমাত্র। কোনও চূড়ান্ত রায় নয়। নানা ধরনেরই রিপোর্টই আছে। তাই এএসআই সমীক্ষার রিপোর্টই যে চূড়ান্ত, তা নয়।” পাশাপাশি তিনি এও জানান, মসজিদ চত্বরে এএসআই সমীক্ষার অনুমতি দিয়ে ১৯৯১ সালের ‘ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন’ লঙ্ঘন করা হয়েছে কি না, সুপ্রিম কোর্টে তাঁদের সেই আবেদনের মামলা চলছে। শুনানিতে নিজেদের বক্তব্য জানাবে মসজিদ কমিটি।