সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু ধর্ম পালটে ফেলে মুসলিম হতে হবে। এই অন্যায় দাবি না মানায় লাগাতার ধর্ষণের শিকার হলেন এক হিন্দু বধূ। কোনও ক্রমে প্রাণ হাতে করে পালিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। কিন্তু সেই অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি। বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন ওই তরুণী। সেখান থেকেই পাকিস্তানের এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, জোর করে ধর্ম পরিবর্তন করতে চেয়ে ধর্ষণের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে পাকিস্তানে। তা সত্বেও টনক নড়েনি দেশের প্রশাসনের।
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে সামারো এলাকার এক হিন্দু বধূকে ধর্ম পালটে ফেলার প্রস্তাব দেয় স্থানীয় কয়েকজন যুবক। কিন্তু রাজি না হওয়ায় তাঁকে অপহরণ করা হয়। ভিডিওটিতে অপহরণকারী তিন যুবকের নামও উল্লেখ করেন ওই তরুণী। ভিডিওতে তিনি বলেন, একটি গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে ধর্ম পরিবর্তন করতে চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজি না হওয়ায় লাগাতার তাঁকে গণধর্ষণ করে ওই তিন যুবক।
[আরও পড়ুন: মন্দার জেরে ছাঁটাই অন্তত ৮০ হাজার ভারতীয়, মার্কিন মুলুকে অস্বিত্ব সংকটে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা]
তিনদিন ধরে এহেন ঘটনা চলার পরে অবশেষে প্রাণ হাতে নিয়ে গোপন ডেরা থেকে পালান ওই তরুণী। সমস্ত ঘটনার কথা জানান স্থানীয় পুলিশকে। কিন্তু তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করতে রাজি হয়নি পুলিশ। স্থানীয় এক হিন্দু নেতা জানিয়েছেন, অভিযোগ দায়ের করতে গিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে থানায় বসে থাকতে হয় নির্যাতিতা ও তাঁর মাকে। তা সত্বেও অভিযোগ দায়ের করেনি পুলিশ। অবশেষে সুবিচারের দাবিতে একটি ভিডিও করে নিজের অবস্থার কথা জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে হিন্দু মহিলাদের ধর্মান্তরিত করতে চেয়ে অত্যাচারের ঘটনা আগেও ঘটেছে। ডিসেম্বর মাসেই ৪০ বছর বয়সি এক মহিলাকে নারকীয় অত্যাচার চালিয়ে খুন করা হয়। গত বছরেই তিনজন হিন্দু মহিলাকে অপহরণ করে মুসলিম ব্যক্তিদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হওয়ায় এক মহিলাকে খুনের অভিযোগও ওঠে এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। একের পর এক অভিযোগ পেয়েও উদাসীন পাক প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘নিরপেক্ষতা নেই’, বিবিসির বিতর্কিত মোদি ডকু-সিরিজ নিয়ে তদন্তের দাবি উঠল ব্রিটেনেই]