সুমন করাতি, হুগলি: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে আন্দোলন, বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে উত্তাল বঙ্গ। দোষীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছে শাসক দল তৃণমূলও(TMC)। এর মাঝেই ঘাসফুল শিবিরের চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে নারীদের অসম্মান, কুপ্রস্তাব দেওয়া-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। তিনি পুরসভার ও তৃণমূলেরই কর্মী বলে পরিচিত।
অভিযোগকারী মহিলা জানিয়েছেন, তিনি পুরসভার কর্মী হলেও দীর্ঘদিন বিধায়কের বাড়িতে কাজ করতেন। বিধায়কের ব্যক্তিগত কাজ থেকে তাঁর বাড়ির বিভিন্ন কাজ করানো হত তাঁকে দিয়ে। তবে তিনি মাইনে পেতেন পুরসভা থেকে। তাঁর অভিযোগ, সম্প্রতি বিধায়ক তাঁকে কুপ্রস্তাব দেন। তিনি সেই প্রস্তাবে রাজি না হলে তাঁকে 'চোর' অপবাদ দেওয়া হয়। তাঁর আরও দাবি, বিধায়ক মহিলাদের আপত্তিকর মেসেজ করেন। ভিডিও কল করেন। তাঁর ব্যবহার ভালো নয়। এমনকী তাঁর কাছে সেই সব প্রমাণও রয়েছে। যথাসময়ে সেইগুলো সামনে আনবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বিরূপ মন্তব্য, দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ! ছয় পদাধিকারীকে বহিষ্কার তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের]
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "বিধায়কের কুস্তাবের রাজি না হওয়ায় আমাকে চোর অপবাদ দেওয়া হয়। আমি বেরিয়ে আসি। আসল ঘটনা বিধায়কও জানেন। আমি পুরসভার কর্মী। তবে বিধায়ক আমাকে সেখানে রাখেননি। উনার বাড়িতে নিয়ে আসেন। এখানে বিধায়কের নানান কাজ ও কন্যাশ্রী, রূপশ্রীর কাজ করতাম। বাড়ির কাজও করেছি।"
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিভিন্ন এলাকায় বিধায়কের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। সেখানে লেখা,'চুঁচুড়ার বিধায়ক দূর হটো, চুঁচুড়া নারীদের সম্মান বাঁচাও।' এই বিষয়ে পোস্ট করেছেন হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'পুরসভার কর্মীকে বাড়িতে রেখে কাজ করাতেন চুঁচুড়া বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক অসিতবাবু। বাড়িতেই পুরসভার রেজিষ্টার সই, বাড়িতেই মাইনে। এমন আর কত মহিলার সঙ্গে আপনি সেফ সাইড করতেন বিধায়কবাবু? আপনি আবার নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। হাস্যকর ! রক্ষক যে নিজেই ধর্ষক এটাই তৃণমূলের মেরুদণ্ড।' অভিযোগ নিয়ে বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।