সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই, দিল্লি-সহ দেশের বড় বড় মেট্রো শহরে কার্যত করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ নেই। ভারতের সঙ্গে স্থগিত বিমান (Flight) চলাচল শুরু করতে ব্রিটেনকে (US) আরজি জানানোর সময় এমনটাই জানাল বিদেশমন্ত্রক। বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন স্রিংলা ব্রিটেনের বিদেশ দপ্তরকে অনুরোধ জানিয়েছেন, স্থগিত বিমান চলাচল আবার শুরু করার জন্য।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? হর্ষবর্ধনের কথায়, ‘‘মুম্বই, দিল্লি ও অন্য বড় শহরগুলি এই মুহূর্তে কার্যত করোনাশূন্য। কিন্তু তা বলে এই পরিস্থিতিতেও আমরা সজাগ রয়েছি। সকলকেই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে, যাতে তৃতীয় ঢেউ আসতে না পারে।’’ সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক উড়ানের জন্য একটি ভিন্ন করোনা সার্টিফিকেটের পরিকল্পনাও রয়েছে মোদি সরকারের।
[আরও পড়ুন: নজরে ২৪, দিল্লিতে বুধবারই অবিজেপি দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন Mamata]
সম্প্রতি ফ্রান্স টিকার দুই ডোজ নেওয়া থাকলে করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলে সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে পর্যটকদের। সেই প্রসঙ্গ তুলেই ব্রিটেনকে বুঝিয়েছেন হর্ষবর্ধন। এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আমি ওঁদের বলেছি ভারতের করোনা পরিস্থিতির কথা। সেই সঙ্গে ফ্রান্সের প্রসঙ্গও তুলেছি। বলেছি ফ্রান্স ইতিমধ্যেই ভারতীয় পর্যটকদের সেদেশে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে এবং সেটাও কোয়ারান্টাইন থাকার শর্ত ছাড়াই। কেবল টিকার দুই ডোজ নেওয়া থাকলে এবং করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেই হবে। আমেরিকাও ভারতের সঙ্গে বিমান যোগাযোগের বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে। ব্রিটেনকেও আমি একই অনুরোধ জানিয়েছি।’’ এই মুহূর্তে ভারত রয়েছে ব্রিটেনের ‘লাল তালিকা’য়। অর্থাৎ, ভারতের কোনও পর্যটকের সেদেশে ঢোকার নিয়ম নেই। ব্রিটিশ নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রবেশাধিকার থাকলেও ১০ দিন কোয়ারান্টাইন থাকার শর্ত পালন আবশ্যিক।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ব্রিটেন গিয়েছেন হর্ষবর্ধন। আগামী ১০ বছর ভারত-ব্রিটেন কূটনৈতিক সম্পর্কের রূপরেখা তৈরি করার লক্ষ্যেই তাঁর এই সফর। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মধ্যে একটি চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার কথা এই বিষয়ে।