সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পূর্ব লাদাখে সংঘাত এড়াতে বড় পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত ও চিন। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে প্যাংগং হ্রদ থেকে ফৌজ সরিয়ে লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তিন দফায় সেনা অপসারণ করবে দুই দেশ।
[আরও পড়ুন: ভারতের দৃঢ়তায় চূর্ণ পাক সেনার মনোবল! চাঙ্গা করতে সীমান্ত পরিদর্শনে পাক সেনাপ্রধান]
লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে মুখোমুখি ভারত (India) ও চিনের (China) সেনাবাহিনী। কার্যত বারুদের স্তূপের উপর রয়েছে গোটা অঞ্চল। সামান্য স্ফুলিঙ্গে ঘটতে পারে প্রবল বিস্ফোরণ। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে দু’দেশের মধ্যে। ভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
এএনআই সূত্রে খবর, সেখানেই নয়াদিল্লি ও বেজিং সিদ্ধান্ত নেয় যে প্রাথমিকভাবে আলোচনার এক সপ্তাহের মধ্যে প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে ট্যাংক, কামান ও সামরিক যান সরিয়ে নেবে দু’পক্ষই। দ্বিতীয় দফায় প্যাংগং হ্রদের উত্তর পারে তিনদিন ধরে লাগাতার ৩০ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার করবে দুই পক্ষ। এর ফলে ধন সিং পোস্টের কাছাকাছি চলে আসবে ভারতীয় সেনা। আর ফিঙ্গার ৮-এর পূর্বে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে চিনা বাহিনী। ফৌজ অপসারণের তৃতীয় ধাপে, প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পার থেকে ফৌজ সরবে দুই পক্ষ। উল্লেখ্য, হ্রদের এই পরেই রয়েছে চুশুল ও রেজাং লা পাস। সঠিকভাবে ফৌজ অপসারণ হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য দুই পক্ষই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চলবে বলেও খবর। তবে সেনার শীর্ষই আধিকারিকর জানিয়েছেন, গালওয়ান উপত্যকা থেকে শিক্ষা নিয়ে চিনের উপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে। টাই ফৌজ সরানোর প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।