সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh) সীমান্তে যুদ্ধের মেঘ কাটাতে বড় পদক্ষেপ করল ভারত ও চিন। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় শান্তি ফেরাতে দ্রুত সেনা প্রত্যাহারের জন্য শুক্রবার ফের কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করল নয়াদিল্লি ও বেজিং।
[আরও পড়ুন: কেলেঙ্কারিতে নীরব মোদিকেও টেক্কা! হায়দরাবাদের এই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তে CBI]
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, পূর্ব লদাখে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুগুলি থেকে নিজেদের ফৌজ দ্রুত সরিয়ে নিতে দু’পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারত-চিন সীমান্ত নিয়ে গঠিত Working Mechanism for Consultation and Coordination (WMCC)-এর পরিকাঠামোর আওতায় দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে ভারচুয়াল বৈঠক হয়। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, দু’দেশই সামরিক এবং কূটনৈতিক স্তরে যোগাযোগ রাখার ব্যাপারেও রাজি হয়েছে। গত ১২ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর দু’দেশের মধ্যে WMCC-এর আওতায় হওয়া আলোচনা এই প্রক্রিয়ায় সহায়ক হয়েছে আশা প্রকাশ করে মন্ত্রক বলেছে, আরও আলোচনার ফলে গত কয়েক মাস ধরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় দুদেশের মধ্যে চলা টানাপোড়েন মিটে যাবে। এর আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এপর্যন্ত ৮ দফা সামরিক বৈঠক হয়ে গিয়েছে চিন (China) ও ভারতের মধ্যে। নভেম্বরের ৬ তারিখ চুশুল বর্ডার পয়েন্টে অষ্টম দফার কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হয় ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন বিদেশমন্ত্রকের যুগ্মসচিব নবীন শ্রীবাস্তব ও ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশনস-এর ব্রিগেডিয়ার ঘাই। ওই বৈঠকের পর সরকার দাবি করে, বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক ও গভীর আলোচনা হয়েছে। সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা ও যোগাযোগ বজায় রাখতে রাজি হয়েছে দুই দেশ।
দুই দেশের মধ্যে সদর্থক আলোচনা হওয়ায় এবার প্রশ্ন হচ্ছে, লাদাখ সীমান্তে কি শান্তি ফিরবে? বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক আলোচনায় সেনা প্রত্যাহারে মৌখিকভাবে চিন রাজি হলেও বাস্তবে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি লালফৌজ। বরং আকসাই চিন থেকে শুরু করে সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের কামেং সেক্টরে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে তারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতও ফৌজ সরাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে কুটনীতিবিদের আলোচনায় যে শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে চলা সীমান্ত সংঘাত মিটে যাবে, তেমন আশা করার কোনও জোরাল কারণ বা যুক্তি নেই।