সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সমস্যার পুনরাবৃত্তি রুখতে তৎপর ভারত-চিন৷ শুক্রবার নয়াদিল্লিতে বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক সারলেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফেং৷ দু’ঘন্টার বৈঠকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক দৃঢ় করার বিষয়ে কথা বলেন তাঁরা৷ কথা হল ৩৫০০ কিলোমিটার ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় শান্তি বজায় রাখার বিষয়েও৷
[বন্যা পরিস্থিতির জন্য দায়ী তামিলনাড়ু, সুপ্রিম কোর্টে দাবি কেরল সরকারের]
সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ভারত ও চিনা সেনার মধ্যে হট লাইন পরিষেবা চালুর বিষয়ে অনেক আগে থেকেই চেষ্টা চালাচ্ছে ভারত ও চিন৷ চলতি বছরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যেও এই বিষয়ে কথা হয়৷ সূত্রের খবর, এবারের বৈঠকে হট লাইন পরিষেবার বিষয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হয়৷ শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় দু’পক্ষ৷ পাশাপাশি ওঠে, সন্ত্রাসবাদে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতদান এবং নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাক সেনার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘণের বিষয়টি৷ পাকিস্তানের সব ঋতুর বন্ধু চিনের কাছে সরব হন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ৷ এমনকি চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের বিষয়েও মুখ খুলতে শোনা যায় তাঁকে৷ পাকিস্তানের গদর বন্দর থেকে চিনের শিনজিং প্রদেশ পর্যন্ত ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে তৈরি হচ্ছে এই রাস্তা৷ যা অতিক্রম করছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়ে৷ একে একপ্রকার ভারতের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা বলে অভিযোগ করেন তিনি৷
কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানান হয়, ডোকলামে আবার সক্রিয় হচ্ছে চিন৷ আবার সেখানে অনুপ্রবেশ শুরু করেছে চিনের সামরিক বাহিনী। সকলের চোখের অলক্ষ্যেই সেখানে নিজেদের অবস্থান মজবুত করছে বেজিং। ভারত ও ভুটানের এই বিষয়ে সজাগ হওয়া প্রয়োজন। মার্কিন আধিকারিকের এই বক্তব্যের পরেই ডোকলাম নিয়ে রাজ্যসভায় বিবৃতি দেন বিদেশমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি কে সিং। তিনি জানান, ডোকলাম নিয়ে চিন্তার কিছু নেই সেখানে পরিস্থিতি একদম স্বাভাবিক রয়েছে। প্রসঙ্গত, চিন ও ভুটানের সীমান্তবর্তি এলাকা ডোকলামে গতবছর বেআইনি ভাবে রাস্তা তৈরি করতে শুরু করে চিনা সেনা৷ তাই নিয়ে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে সমস্যা শুরু হয় চিনের৷ দীর্ঘ ৭৩ দিনের বাদানুবাদে নয়াদিল্লি ও বেজিংয়ের সেনার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়৷ মধ্যে৷ রীতিমতো শর্ত দিয়ে চিন জানায় বিতর্কিত উপত্যকা থেকে ভারত সেনা সরালে তবেই তারা সেনা সরাবে৷ তবে ভারতের দৃঢ় অবস্থানের কাছে শেষে মাথা নত করতে বাধ্য হয় লাল ফৌজ৷ পিছু হটে তারা৷ মেটে ডোকলাম সমস্যা৷
[ডি-কোম্পানিতে বাড়ছে অন্তর্দ্বন্দ্ব, আইএসআই হিট লিস্টে ছোটা শাকিল]