সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (Ladakh)সীমান্তে কিছুটা কেটেছে যুদ্ধের মেঘ। তবে লালফৌজের আগ্রাসনে দুই দেশের সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছে তা মেরামত করা সহজ নয়। এহেন পরিস্থিতিতে ফের একবার বৈঠকে বসতে চলেছে ভারত ও চিনের প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে কোণঠাসা পাক মদতপুষ্ট জেহাদিরা, সেনার গুলিতে খতম ৩ জঙ্গি]
সংবাদ সংস্থা এনআইআই সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে সংঘর্ষের অন্যতম কেন্দ্রবন্দু প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলাকা থেকে আগেই সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা, শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি, হাউৎজার সরিয়ে নিয়েছে। প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে সরানো হয়েছে চিনের সব ট্যাঙ্ক, হাউৎজার কামান। তবে পরিস্থিতির উপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনার উপরমহল। সেই মতো পদক্ষেপ ও কৌশল বদলাচ্ছেন তাঁরাও। আর প্যাংগংয়ের পরই এবার অন্যান্য বিবদমান এলাকা নিয়ে ফের আলোচনায় বসতে চলেছে দুই দেশ। এবার আলোচনার হবে এবার লাদাখের দেপসাং সমতল, গোগরা-হটস্প্রিং নিয়ে। চলতি সপ্তাহেই ওই জায়গা থেকে ফৌজ সরানো নিয়ে দুই দেশের কোর কমান্ডার স্তরের বৈঠক হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, চিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত (LAC) ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছে চিনা বাহিনী। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলকাতেই সীমিত ছিল। এবার লাদাখের দেপসাং সমতল, গোগরা-হটস্প্রিং নিয়েও আলোচনা শুরু হবে। গত ফেব্রুয়ারি গালওয়ান সংঘর্ষের ভিডিও প্রকাশ করেছে চিন। পাশাপাশি পাঁচ জন জওয়ানের মৃত্যুর কথাও স্বীকার করে নিয়েছে তারা। কিন্তু বেজিংয়ের অভিযোগ, এই খবরের মাধ্যমেই ফের একবার সীমান্তে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সেনা প্রত্যাহারেও বাধা তৈরি করছে তারা।