সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'আইএনএস অরিহন্ত’-এর পর এবার ‘আইএনএস অরিঘাত’। নৌসেনার হাতে এল আরও এক পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন। বৃহস্পতিবারই অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে সেটি যোগ দিল নৌসেনার নয়া সদস্য হিসেবে। সূত্রানুসারে, এই সাবমেরিনে থাকবে কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। যা সাড়ে সাতশো কিমি দূরের লক্ষ্যবস্তুকেও গুঁড়িয়ে দেবে অনায়াসে। গতিবেগ ঘণ্টায় ২২ থেকে ২৮ কিমি।
কী বৈশিষ্ট্য এই ডুবোজাহাজের? সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘আইএনএস অরিঘাত’-এর দৈর্ঘ্য ১১৩ মিটার। এখানে রয়েছে চারটি কে-১৫ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। রয়েছে ১২টি কে ১৫ এসএলবিএম (সাবমেরিন লঞ্চড ব্যালেস্টিক মিসাইল)। ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়াও রয়েছে ২১ ইঞ্চির চারটি টর্পোডো।
[আরও পড়ুন: আল কায়দা ঘনিষ্ঠ জঙ্গি নেতাকে মুক্তি বাংলাদেশ সরকারের! চিন্তা বাড়ছে ভারতের]
নৌসেনায় এই সাবমেরিনের অন্তর্ভুক্তিকে অত্যন্ত তাৎপর্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। পরমাণু রণকৌশলে ভারত বরাবরই প্রথমে আঘাত করার পক্ষপাতী নয়। ভারতের 'নিউক্লিয়ার ডক্ট্রিন' হচ্ছে 'নো ফার্স্ট স্ট্রাইক'। শত্রুর বিরুদ্ধে দ্রুত প্রত্যাঘাত করাই লক্ষ্য। সেখানে ভারতীয় ভূখণ্ডে বিদেশি আক্রমণে যদি বড়সড় বিপত্তি ঘটে, তাহলে সমুদ্রগর্ভে লুকিয়ে থাকা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত সাবমেরিন দ্রুত প্রত্যাঘাত হানবে। যেহেতু এর পাল্লা সাড়ে সাতশো কিমি, তাই বঙ্গোপসাগরে থাকলে চিনের একাধিক প্রদেশ যেমন তিব্বতের অনেকটা, কুনমিং প্রদেশ এর আওতায়। অন্যদিকে আরবসাগরে ইসলামাবাদ-সহ গোটা পাকিস্তানই কার্যত চলে আসবে আওতায়। ফলে এমন এক সাবমেরিন ভাণ্ডারে রেখে ভারত যে কার্যতই শত্রুকে পরোক্ষে কড়া বার্তা দিয়ে রাখল তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।