সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে চিনা ড্রাগন৷
ভারত মহাসাগরের উপর আধিপত্য কায়েম করতে নয়া পন্থা অবলম্বন করল চিন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের উদ্বেগ বাড়িয়ে এবার পাকিস্তানের করাচি বন্দরে দেখা মিলল চিনা পরমাণু সাবমেরিনের৷ গুগল আর্থে দেখতে পাওয়া গেল হাড় হিম করা সেই ছবি৷ ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই লালফৌজের এই পদক্ষেপ, দাবি সামরিক বিশেষজ্ঞদের৷
(পাকিস্তানকে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সাহায্য করব, প্রকাশ্যেই জানাল চিন)
ভারতের জলসীমার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা এই পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিনটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের শক্তিশালী টর্পেডো এবং ক্ষেপণাস্ত্র৷ পারমাণবিক শক্তিচালিত হওয়ায় এই ধরনের ডুবোজাহাজের ক্ষমতা অপরিসীম৷ সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের সাবমেরিন সমুদ্রের নিচে প্রায় গোটা বিশ্বে টহল দিতে পারে৷ কোনও রেডার বা সনার-এ এই রণতরী ধরা পড়বে না৷ জলের তলায় যে কোনও জায়গায় এই পারমাণবিক রণতরী ঘাপটি মেরে থাকতে পারদর্শী৷
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গতবছরের মে মাসে তোলা গুগল আর্থের একটি ছবি ওই চিনা সাবমেরিনটিকে পাকিস্তানের করাচি বন্দরে টহল দিতে দেখা গিয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি একটি টাইপ ০৯৩ হান ক্লাসের সাবমেরিন৷ ২০১৬-র ডিসেম্বরে নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল সুনীল লাম্বা জানান, ভারত মহাসাগরে চিনা সাবমেরিন এবং যুদ্ধজাহাজের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখছে নৌসেনা৷
(অত্যাধুনিক ‘সুখোই-৩৫’ কিনে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে চিন)
পাকিস্তান এবং চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা ভারতকে চিন্তায় ফেলেছে৷ গতবছর, পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনের থেকে ৮টি ইউয়ান ক্লাস সাবমেরিন কিনতে চলেছে ইসলামাবাদ৷ এই পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল গদর বন্দরে চিনা যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্নচিহ্ন বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা৷ কারণ, এই বন্দরের মাধ্যমে ভারতে যে কোনও সময় হামলা চালাতে পারে বেজিং৷
(চিন পরমাণু হামলা চালালে পাল্টা বেজিংকে শ্মশান করে দেবে ‘অগ্নি-৫’)
The post ভারতের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে চিনা পরমাণু সাবমেরিন appeared first on Sangbad Pratidin.