সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল নিয়ে লালফৌজের চোখরাঙানি ওড়াল ভারত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাফ কথা, অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। ফলে চিনের (China) দাবি কেবল অযুক্তিক এবং ভিত্তিহীন নয়, হাস্যকরও বটে। নতুন করে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটিকে নিয়ে দাবি তুলেছে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রক। সেই সূত্রেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত।
গত শনিবার চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র কর্নেল জাং শিয়াওজাং ‘বিতর্কিত’ ভূখণ্ড নিয়ে বিবৃতি দেন। সেখানে অরুণাচলের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। বেজিংয়ের তরফে বলা হয় ভারতের নয়, বরং চিনের অবিচ্ছদ্য অংশ অরুণাচল। যদিও জায়গাটির নাম আদতে ‘জাংনান’। রেড আর্মির আধিকারিক আরও বলেন, ভারতের দাবি অবৈধ। ওই দাবিকে স্বীকৃতি দেয় না চিন। আমরা দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করছি।
[আরও পড়ুন: ভোটের আগেই বড় ধাক্কা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার, বিজেপিতে যোগ হেমন্তের ভ্রাতৃবধূর]
চলতি মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অরুণাচল নিয়ে দাবি প্রকাশ্যে জানাল চিন। শেষবার এই দাবি করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অরুণাচল সফরের পরেই। সোমবার তার প্রতিক্রিয়ায় লালফৌজের দাবিকে মনগড়া বলল দিল্লি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র রনধির জয়সওয়াল বলেন, ‘অরণাচল প্রদেশ নিয়ে চিনের অযৌক্তিক দাবি নজর রয়েছে আমাদের। ভিত্তিহীন যুক্তি বারবার তুলে ধরলেও তা বৈধতা পায় না। অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প, পরিকাঠামো উন্নয়নে উপকৃত হচ্ছেন স্থানীয় মানুষ।’
[আরও পড়ুন: আত্মঘাতী বধূ! খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িকে ‘খুন’ বাপের বাড়ির লোকেদের]
প্রসঙ্গত, গত ৯ মার্চ বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সে লা টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৩ হাজার ফুট উঁচুতে তৈরি এই টানেল অসমের তেজপুরের সঙ্গে অরুণাচলের তাওয়াংকে যুক্ত করেছে। এর ফলে অরুণাচলের সঙ্গে দেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ সুগম হয়েছে বলা বাহুল্য। যা চিনের জন্য অস্বস্তির হয়ে উঠেছে। এই সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রনেতার অরুণাচল সফরও অপছন্দের বেজিংয়ের। সেই কারণেই নতুন করে দাবি তুলল চিন। উষ্ণতা বাড়ল ভারত-চিন সীমান্তে।