সুকুমার সরকার, ঢাকা: সরকার বদলের পর দুদেশের সৌজন্যের ছবিটাও খানিক বদলে গিয়েছে। ভারতের প্রতি খুব একটা বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ চোখে পড়েনি বাংলাদেশের নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের। উলটে দুর্গাপুজোর মরশুমে বাংলার জন্য বিশেষ উপহার ইলিশও এবার পাঠাবে না বংলাদেশ। যা কিনা শেখ হাসিনার আমলে প্রায় রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাতে এবার ছেদ পড়ছে। তবে ভারত কিন্তু পালটা আচরণ দেখায়নি, উলটে নয়াদিল্লির তরফে প্রতিবেশী দেশের চাহিদা মেটাতে প্রায় আড়াই লক্ষ ডিম পাঠাল।
সূত্রের খবর, পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিম রপ্তানি করা হয়েছে ২ লক্ষ ৩১ হাজার ৪০ পিস ডিম রপ্তানি করা হয়েছে। রবিবার সন্ধেবেলা ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ডিমের ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। পরে রাতেই বন্দর থেকে খালাস হয়। ভারত থেকে আমদানি করা এই ডিমের বাংলাদেশি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান রাতুল ইন্টারন্যাশনাল এবং ভারতের এক্সপোর্টার্স শ্রীলাক্সমি নারায়ণ ভাণ্ডার। বাংলাদেশে এসেছে মোট ১১০৪ কার্টন ডিম। প্রতি কার্টনে ২১০ পিস করে ডিম রয়েছে। শুল্ক বাদে এসব ডিমের দাম ধরা হয়েছে ১১ হাজার ১৭২.০৬ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ১৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৪৩.৯২ টাকা।
[আরও পড়ুন: নেই অভিষেক! গণেশপুজোর প্যান্ডেলে মা-মেয়েকে নিয়ে হিমশিম খেলেন ঐশ্বর্য]
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আব্দুল লতিফ সংবাদমাধ্যমে জানান, ডিমের বাজারে এই মুহূর্তে সংকট চলছে। সুরাহা পেতে আরও ডিম আমদানি দরকার। মাঝে আমদানি বন্ধ ছিল। আবার তা শুরু হয়েছে। ডিম আমদানি করা হলে বাংলাদেশের মানুষ কম দামে ডিম কিনতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বাংলদেশে প্রতি পিসের দাম উঠেছিল ১৫ টাকা। এখন তা ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা।