ভারত: ২১২/২ (কোহলি-১২২*, রাহুল ৬২, ফরিদ-৫৭/২)
আফগানিস্তান: ১১১/৮ (জারদান-৬৪*, ভুবনেশ্বর-৪/৫)
১০১ রানে জয়ী ভারত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধুরেণ সমাপয়েৎ বোধহয় একেই বলে। ১০২০ দিন পরে সেঞ্চুরি পেলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তাঁর দিকে ধেয়ে আসা সমালোচনার ঝড় উড়িয়ে দিলেন মরুশহরে। তাঁর গাণ্ডীবে লেখা হল নতুন রূপকথা। ভারত এশিয়া কাপ (Asia Cup) শেষ করল বড় জয় দিয়ে। ১০১ রানে আফগানিস্তানকে হারাল টিম ইন্ডিয়া। কোহলির সেঞ্চুরি, আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে এই বিশাল জয় কিছুটা হলেও এশিয়া কাপে ভারতের ব্যর্থতার ক্ষতে প্রলেপ দিল।
মরুশহরে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছনোর আগে কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি এসেছিল সেই ইডেন গার্ডেন্সে। গোলাপি বলে ব্যাট করা কঠিন ছিল। কোহলি কিন্তু সেই টেস্টে অবাধ্য পিঙ্ক বলকে পোষ মানিয়ে ছিলেন। ভরা ইডেন গার্ডেন্সে সেই সেঞ্চুরির পরে তাঁর ব্যাট বোবা থেকে গিয়েছিল। একের পর এক ম্যাচে রান পাননি কোহলি, শতরান আসেনি, তাঁর ভক্তদের রাতের ঘুম গিয়েছে। নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়েছেন। রানে ফেরার জন্য মরিয়া বিরাট বিশ্রাম পর্যন্ত নেন। কিন্তু তাতেও ঠিকঠাক হচ্ছিল না। এশিয়া কাপে তিনি ফিরলেন রাজকীয় ভঙ্গিতে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে কোহলি হাজার ওয়াটের আলো জ্বাললেন। ৬১ বলে ১২২ রান করে অপরাজিত থেকে যান। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে লোকেশ রাহুলও রানে ফেরেন। এদিন রোহিত শর্মা বিশ্রাম নেওয়ায় দলকে নেতৃত্ব দেন লোকেশ রাহুল। একাধিক পরিবর্তন আনা হয় দলে।
[আরও পড়ুন: তিন বছর পর এল শতরান, আফগানদের উড়িয়ে মরুশহরে কোহলির রূপকথা]
ভারত (India) ও আফগানিস্তান (Afghanistan) দুই দলেরই এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গিয়েছিল আগেই। এদিনের ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচ ছিল নিয়মরক্ষার। সেই অর্থে চাপ ছিল না কোনও দলের উপরেই। সেই ম্যাচেই কোহলি জ্বলে উঠলেন। শুরু থেকেই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন দিনটা তাঁর হতে চলেছে। মাত্র ৬১ বলের ইনিংসে কোহলি হাঁকিয়েছেন ১২টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা। অন্যদিকে লোকেশ রাহুল ৪১ বলে ৬২ রান করেন। ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন লোকেশ রাহুল। তিনি আউট হয়ে গেলেও কোহলির ব্যাট কিন্তু থেমে থাকেনি। সূর্যকুমার যাদব ব্যর্থ হন। ঋষভ পন্থ অপরাজিত থেকে যান ২০ রানে। কিন্তু আজ তো কোহলির দিন। তাঁর শো সুপারহিট। ফরিদকে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে ৯০ থেকে ১০০-য় পৌঁছন কিং কোহলি। শেষপর্যন্ত ১২২ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ভারত করে ২ উইকেটে ২১২ রান।
ভারতের পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। যে ভুবনেশ্বর কুমার সুপার ফোরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচের মোক্ষম সময়ে রান দিয়ে ভারতকে বিপন্ন করেন, এদিন তাঁর আগুনে বোলিং সামলাতে পারেননি আফগান ব্যাটাররা। তাঁরা এসেছেন আর গিয়েছেন। পাঁচ-পাঁচটি উইকেট দখল করেন ভুবি। কিছুটা হলেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেন এই ভারতীয় পেসার। আফগানিস্তানকে নিয়ে ভারত ছেলেখেলা করলেও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রশিদ খানরা মোটেও দুর্বল নয়। যে কোনও কঠিন প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দিতে পারে তারা। কিন্তু এদিন ভারতের রান তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তানের ইনিংস তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ২০ ওভারে আফগানরা করে ৮ উইকেটে ১১১ রান। একটা সময় অবশ্য মনে হয়েছিল একশো রানের গণ্ডিও টপকাতে পারবে না আফগানিস্তান। কিন্তু ইব্রাহিম জারদানের (৬৪*) জন্য আফগানিস্তান একশো টপকায়। ১০১ রানে ম্যাচ জেতে ভারত।
[আরও পড়ুন: NEET’তে বাংলার মেয়ের জয়জয়কার, মহিষাদলের দেবাঙ্কিতার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত পরিবার]