সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুইস ব্যাংকে (Swiss Bank Account) কারা টাকা রাখছেন? সরকারের কর ফাঁকি দিয়ে কত টাকা জমিয়ছেন ওখানে? সেই সংক্রান্ত দ্বিতীয় দফার তথ্য দিল সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকটি। শুক্রবার ভারত সরকারের কাছে দ্বিতীয় দফার এই তথ্য এসে পৌঁচেছে। তবে সেই তালিকায় কতজনের নাম রয়েছে, সে সম্পর্কে কোনও তথ্য দেয়নি কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, এই তথ্যই কালো টাকার বিরুদ্ধের কেন্দ্রের লড়াইয়ের মূল হাতিয়ার।
বিশ্বের ৮৬টি দেশের নাগরিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সেই দেশের সরকারকে জানায় সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কোন কোন দেশের নাগরিক ওই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে, সে সম্পর্কে তথ্য দেয় সুইজারল্যান্ড ফেডারেল ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। এই তালিকায় রয়েছে ভারতও। এদিন সুইজারল্যান্ড ফেডারেল ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, অটোমেটিক এক্সচেঞ্জ অফ ইনফরমেশনের নীতি মেনে এ বছর ৩১ লক্ষ অ্যাকাউন্টের তথ্য তাঁরা সামনে এনেছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই ৮৬টি দেশের তালিকায় নাম রয়েছে ভারতেরও। তাই কেন্দ্রের মোদি সরকারের কাছে এদিন ডসিয়ার পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন : উইন্ড টার্বাইন নিয়ে জ্ঞানের দৌড় কত? টুইটে মোদিকে খোঁচা দিয়ে বিজেপির চ্যালেঞ্জের মুখে রাহুল]
গত একবছরে মোদি সরকারকে ১০০-রও বেশি ব্যক্তি ও সংস্থার নাম পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকটি। সেই তথ্যকে হাতিয়ার করে কালো টাকার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ছে কেন্দ্র সরকারের বিভিন্ন সংস্থা। নয়া তথ্য হাতে এলে সেই লড়াই আরও জোরদার হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও সুইস ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্য নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে কেন্দ্রও।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার আগে কালো টাকার বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেই কথা মত সুইস ব্যাংক থেক তথ্য আনার জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। নিয়মিত তথ্যও আসছে দেশে। তারপরেও সরকার কালো টাকা উদ্ধার করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারেনি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।