সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ ভাইরাস করোনার (Coronavirus) মিউট্যান্ট স্ট্রেন আরও ভয়াবহ। আর তা দৈনিক ২ হাজারেরও বেশি প্রাণ কাড়বে। মার্কিন মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এর দাবি ঘিরে আতঙ্ক বাড়ল আরও। তাতে বলা হয়েছে, জুনের প্রথম থেকেই দেশে মৃত্যুর হার এতটা মারাত্মক হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, করোনা ভাইরাস বায়ুবাহিত কি না, তা নিয়েও নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই তত্বের সপক্ষে ধারাবাহিক এবং জোরাল প্রমাণ মিলেছে। এমনটাই দাবি করা হল বিখ্যাত মার্কিন মেডিক্যাল জার্নাল ‘ল্যানসেট’-এ। এর আগে একাধিক বার হাওয়ায় করোনা ছড়ানোর থিওরি সামনে এলেও তা কার্যত ধোপে টেকেনি। সেই তত্বই আবার নতুন করে সামনে এল।
আমেরিকা (USA), ব্রিটেন (UK) এবং কানাডার (Canada) ৬ জন বিজ্ঞানী এই তত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। সেই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।তাতেই জানা গিয়েছে হাওয়ায় ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। এর সপক্ষে একাধিক প্রমাণ মিলেছে। গবেষণাপত্রে আরও দাবি করা হয়েছে, বড় আকারের ড্রপলেটের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর তেমন কোনও প্রমাণ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডব আমেরিকায়, ইন্ডিয়ানাপোলিসে এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত অন্তত ৮]
গবেষক দলের এক সদস্য বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং অন্যান্য জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির এই গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। যদি তারা প্রয়োজন মনে করে তবে গবেষণার যে তথ্য প্রমাণ জোগাড় হয়েছে তাও খতিয়ে দেখতে পারে। আর এই গবেষণার ফলাফল যত দ্রুত গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে ততই তাড়াতাড়ি সংক্রমণ আটকানোর ক্ষেত্রে কার্যকরী পদক্ষেপ করা যাবে।
আমেরিকার স্কাগিটে করোনা সংক্রমণের ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে গবেষণাপত্রে। যেখানে মাত্র ১ জনের শরীর থেকে ৫৩ জনের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে সংক্রমিত ওই ব্যক্তি অন্যদের সংস্পর্শে বা কাছাকাছিও আসেননি। গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, খোলা জায়গার তুলনায় করোনা ভাইরাস বদ্ধ ঘরের মধ্যে বেশি ছড়ায়। আর ঘরের মধ্যে যদি হাওয়া চলাচল ব্যবস্থা ভাল থাকে, সেক্ষেত্রেও সংক্রমণ কম ছড়ায়।
[আরও পড়ুন: প্রতি বছরই নিতে হবে করোনার টিকা, দাবি করলেন ফাইজারের সিইও]
গবেষণায় আরও দাবি করা হয়েছে, উপসর্গহীন, যাঁদের হাঁচি-কাশিও হয় না তাঁদের মাধ্যমেও ভাইরাস ছড়াতে পারে। এবং তা মোট সংক্রমণের প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এমনকী এমন দু’জন মানুষের মধ্যেও ভাইরাস ছড়াতে পারে যাঁরা হোটেলের পাশাপাশি রুমে থেকেছেন। তাঁরা হয়তো কখনও কাছাকাছি আসেননি কিন্তু পাশাপাশি রুমে থাকার কারণে এক জনের থেকে অন্যের শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রমাণ মিলেছে। আর বড় আকারের ড্রপলেট যেহেতু হাওয়ায় বেশি দূর পর্যন্ত যেতে পারে না, নীচে পড়ে যায়, তাই এর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়ায় অনেক কম।