দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৬, ৬৫/২
ভারত: ২০৯ (পাণ্ডিয়া-৯৩)
দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৪২ রানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউল্যান্ডসের প্রথম দিনের হিরোর তকমা যদি দেওয়া হয় ভুবনেশ্বর কুমারকে, তাহলে চোখ বন্ধ করে দ্বিতীয় দিন একজনই ছিলেন লাইমলাইটে। তিনি হার্দিক পাণ্ডিয়া। যতদিন যাচ্ছে, দলে ততই অপরিহার্য হয়ে উঠছেন এই অলরাউন্ডার। পাণ্ডিয়ার পারফরম্যান্সে অনেকটা আগের বিরাট কোহলির ছায়া। সেই নির্ভরশীলতা, সেই আগ্রাসী মনোভাব, দলের জন্য কিছু করার সেই খিদে তাঁকে চোখে মুখে। আর সেই কারণেই হয়তো বিদেশের মাঠেও এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন হার্দিক।
[অনুষ্কার উপস্থিতিতে খারাপ পারফরম্যান্স বিরাটের, নেটদুনিয়ায় হাসির খোরাক]
রোহিত শর্মা, চেতেশ্বর পূজারা, মুরলী বিজয়, বিরাট কোহলিরা এখন দলের সিনিয়র খেলোয়াড়। অচেনা বাইশ গজে তাঁদের অভিজ্ঞতার মূল্য অনেকখানি। তবে অভিজ্ঞতার বিকল্প একটাই হতে পারে। তা হল পারফরম্যান্স। রাবাডা, ডেল স্টেইন, মর্নি মর্কেলরা যখন ভারতীয় ব্যাটিং লাইন-আপে একের পর এক ধাক্কা দিয়ে চলেছেন, তখন কঠিন প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে সব বিপর্যয় রুখে দিলেন একা হার্দিক। টেস্টে ৯২ রানে যখন ৭ টা উইকেট পড়ে যায়, তখন তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদেরও ক্রিজে নেমে হাত কাঁপে। সেই পরিস্থিতিতে সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হার্দিক যা পারফর্ম করে গেলেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ভুবিকে সঙ্গে নিয়ে ৯৯ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করে ভারতকে অন্তত লড়াইয়ের অক্সিজেনটুকু জোগাতে সফল তিনি। মাত্র সাত রানের জন্য সাত নম্বর ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরিটা হাতছাড়া হল ঠিক, কিন্তু কেপ টাউনের টেস্ট জমে উঠল পাণ্ডিয়া দাওয়াইতেই। আর শুধুই কি ব্যাট, হাত ঘুরিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনিং জুটির ৫০ রানের পার্টনারশিপ ভাঙার কাজটিও করলেন তিনিই। মাক্রাম ও এলগারকে ফিরিয়ে প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুর ধাক্কাটা দিয়ে রাখলেন।
[দলের স্বার্থে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের থেকে কম বেতন চাইলেন রোহিত]
কিন্তু বিরাটের মাথায় চিন্তার ভাঁজটা থেকেই গেল। কারণ অবশ্যই ভারতীয় ব্যাটিং অর্ডার। পাণ্ডিয়া ছাড়া কেউই ৩০ রানও করতে পারেননি। ব্যর্থ তিনি নিজেও। আবার দ্বিতীয় দিনের শেষটাও মন্দ করলেন না আমলারা। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে, প্রথম টেস্ট যে হাতছাড়া হবে, তা বলাইবাহুল্য।