সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জম্মুতে (Jammu) ড্রোনের (Drone) সাহায্যে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার ঘটনাটি এবার আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গেল ভারত (India)। সরাসরি রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) নালিশ নয়াদিল্লির (New Delhi)। অস্ত্রপাচার এবং এই ধরনের জঙ্গি হামলায় ড্রোনের ব্যবহার খুবই উদ্বেগের। যা আগামিদিনে গোটা বিশ্বকে চিন্তায় ফেলবে। অবিলম্বে এদিকে নজর দেওয়া উচিত। বিশ্বের প্রত্যেক দেশকে এই ধরনের ড্রোন হামলার বিরুদ্ধে একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সোমবার জম্মুর ঘটনা তুলে ধরার সময় এমনই মন্তব্য করল ভারত।
সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় সদস্য দেশগুলির সন্ত্রাসদমন এজেন্সিগুলির প্রধানদের দ্বিতীয় উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভারত থেকে যোগ দিয়েছিলেন ভি এস কে কৌমুদী। সেখানেই তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে জম্মুর ঘটনা তুলে ধরেন। নিজেদের কার্যসিদ্ধির জন্য জঙ্গিরা সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষের মগজধোলাই করছে, তাঁদের সন্ত্রাসের পথে নিয়ে আসছে। এছাড়া নিত্যনতুন পেমেন্ট পদ্ধতিগুলোর সাহায্য নিয়ে বা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে অর্থসংগ্রহ করছে এবং বর্তমানে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলাগুলি সংগঠিত করছে। এমনই অভিযোগ করেন কৌমুদী। এরপরই ড্রোন হামলার ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ড্রোনগুলি সহজে এবং কম খরচে পাওয়া যায়। এগুলির মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদীরা শুধু তথ্য জোগাড় করছে তা নয়, অস্ত্র বা বিস্ফোরক পাচার এবং জঙ্গি হামলার ঘটনাও ঘটাচ্ছে। অবিলম্বে রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলির এই ব্যাপারে নজর দিতে হবে। জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে আমরা ইতিমধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে অস্ত্রপাচারের ঘটনা ঘটতেও দেখেছি।” এরপরই সন্ত্রাসদমন এবং এই ধরনের ঘটনাগুলিতে বিশ্বের সমস্ত দেশকে একসঙ্গে লড়ার বার্তাও দেন তিনি।
[আরও পড়ুন: সিংহকে নেশাচ্ছন্ন করে বেঁধে উদ্দাম পার্টি, নেটিজেনদের রোষানলে পাক সোশ্যাল মিডিয়া স্টার]
উল্লেখ্য, শনিবার গভীর রাতে জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠে জম্মু (Jammu) বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অন্য এক আশঙ্কা তৈরি করে দেয় ওই হামলা। এই প্রথমবার, ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হয় ড্রোন। এতদিন সীমান্ত পার করে অস্ত্র পাচারে ব্যবহার হত এই যন্ত্র। এবার সরাসরি বিস্ফোরক ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতেও ব্যবহৃত হল এই ছোট্ট যন্ত্রটি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে থাকা এলাকায় হামলা চালাতে তুরুপের তাস হয়ে উঠতে পারে এই ড্রোন। ফলে সতর্ক থাকতে হবে বাহিনীকে। এরপর সোমবার গভীর রাতে জম্মুর কুঞ্জওয়ানি ও রতনুচক ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ড্রোন দেখা যায়। সূত্রের খবর, রাত দেড়টা থেকে ভোর চারটের মধ্যে কালুচকে সেনাঘাঁটির কাছেও উড়ন্ত যানগুলিকে দেখা যায়। এই ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রতিরক্ষা মহলে। এই পরিস্থিতিতেই এবার রাষ্ট্রসংঘে অভিযোগ জানাল ভারত।