সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাকে হার মানিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে দেশ। প্রতিদিন একটু একটু করে কমছে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বিশ্বের একাধিক প্রান্তে যখন নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাস, তখন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, কোভিডবিধি মেনে চললে এবং সতর্ক থাকলে চতুর্থ ঢেউ এড়াতে পারবে ভারত। তাই মাঝেমধ্যে সংক্রমণ সামান্য বাড়লেও উদ্বেগের কারণ নেই।
শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২,৩২৩ জন। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ২.৮ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা কেরলে। একদিনে সে রাজ্যে সংক্রমিত ৫৫৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের নিরিখে বাকি পাঁচ রাজ্য হল যথাক্রমে দিল্লি (৫৩০), মহারাষ্ট্র (৩১১), হরিয়ানা (২৬২) এবং উত্তরপ্রদেশ (১৪৬)। অর্থাৎ মোট সংক্রমিতের ৭৭.৭ শতাংশই এই পাঁচ রাজ্যের। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৪ কোটি ৩১ লক্ষ ৩৪ হাজার ১৪৫।
[আরও পড়ুন: সাধারণ মেয়ের হার না মানা জেদ, মন্ত্রীকেও সিবিআই জেরার মুখে পৌঁছে দিলেন ববিতা]
তবে স্বস্তি দিচ্ছে কমতে থাকা সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। বর্তমানে দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা কমে হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৬। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার আপাতত ০.০৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৩৪৮।
সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি স্বস্তিজনক সুস্থতার হারও। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮০১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ২,৩৪৬ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৭৫ শতাংশ। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য জানাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯২ কোটি ১২ লক্ষের বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল ভ্যাকসিন পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। জোর দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজেও। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনওভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়েও। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৩৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।