সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়েই বিধ্বস্ত অবস্থা দেশের। তারই মধ্যে শীঘ্রই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়ে চলেছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে মারণ ভাইরাস নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। আর শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্টে কপালের ভাঁজ আরও গভীর হল। কারণ দৈনিক আক্রান্ত সামান্য কমলেও অতীত রেকর্ড ভাঙল মৃতের সংখ্যা। ঊর্ধ্বমুখী অ্যাকটিভ কেসও।
এদিন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ জন করোনা (Corona virus) আক্রান্ত হয়েছেন। যা গতকাল পৌঁছে গিয়েছিল ৪ লক্ষ ১৪ হাজারে। দৈনিক সংক্রমণ বাড়ছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, কর্ণাটক, তামিলনাড়ুতে। সংক্রমণ ঠেকাতে নতুন করে লকডাউনের পথে হেঁটেছে তামিলনাড়ু। এদিনই সে রাজ্যের সরকার জানায়, ১০ মে ভোর ৪টে থেকে দু’সপ্তাহের জন্য অর্থাৎ ২৪ মে ভোর ৪টে পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন জারি থাকবে।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ‘সোনার বাংলা’কে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিল স্বাস্থ্যমন্ত্রক]
দেশে মোট করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ১৮ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৭৬-এ। একদিনে এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ হারিয়েছেন ৪,১৮৭ জন। যা এখনও পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ। ভারতে করোনার বলি মোট ২ লক্ষ ৩৮ হাজার ২৭০ জন। এদিকে অ্যাকটিভ কেস বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে বেড কিংবা পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সমস্যাও বাড়ছে। বর্তমানে করোনার চিকিৎসাধীন ৩৭ লক্ষ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন।
তবে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরাই। পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৬০৯ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ ৩০ হাজার ৯৬০ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। টিকা পেয়েছেন ১৬ কোটি ৭৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ। টিকাকরণের পাশাপাশি রোগী চিহ্নিত করতে চলছে টেস্টিংও। ICMR-এর রিপোর্ট বলছে, গতকাল ১৮ লক্ষ ৮ হাজার ৩৪৪টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তবে শুধু বাড়তে থাকা সংক্রমণই নয়, চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনার নয়া স্ট্রেনও।