সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ব্যাপক বিরোধিতার কারণেই সীমান্ত পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তার কারণেই দুই দেশের সম্পর্কের ভিত নড়ে গিয়েছে-চিনা বিদেশমন্ত্রী লি শাংফুকে (Li Shangfu) সাফ বার্তা দিল ভারত। গালওয়ানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর প্রথমবার ভারত সফরে এসেছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার রাজনাথ সিংয়ের (Rajnath Singh) সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (LAC) দুই দেশের সামরিক সক্রিয়তা নিয়েই এই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে ভারতের তরফে।
এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতে এসেছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী। ২৮ এপ্রিল এসসিও বা সাংহাই কর্পোরেশন অরগানাইজেশনের বৈঠক। যেখানে ভারত, রাশিয়া, চিনের পাশাপাশি পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরও যোগ দেওয়ার কথা। তার আগেই ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন শাংফু। দুই দেশের সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই মন্ত্রীর মধ্যে।
[আরও পড়ুন: ‘অস্বাভাবিক আচরণ, কোনও সম্পর্ক নেই’, সুকন্যার গ্রেপ্তারিতেও উদাসীন অনুব্রতর দাদা]
বৈঠকের পর একটি বিবৃতি জারি করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, ভারত (India) ও চিনের (China) সম্পর্ক নির্ভর করছে সীমান্ত পরিস্থিতির উপর। সীমান্তে যদি শান্তি বজায় থাকে, তাহলেই দুই দেশের সম্পর্কে উন্নতি হতে পারে।” প্রসঙ্গত, গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সেনা মোতায়েন করেছে ভারত ও চিন। ১৮ বার বৈঠকে বসেও সেনা সরানোর বিষয়ে সহমত হতে পারেনি দুই দেশ। প্রসঙ্গত, রবিবারেই শেষবার বৈঠকে বসেছিল দুই দেশের সেনা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “দুই দেশের মধ্যে যা চুক্তি রয়েছে, সেই ধারা মেনেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার যাবতীয় সমস্যা মেটাতে হবে। এতদিন ধরে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হয়েছে, তার জেরেই দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। সীমান্তে শান্তি ফেরাতে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মানতেই হবে।” নিয়ন্ত্রণরেখার সমস্যা মেটাতে ভারতের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। তবে সীমান্ত থেকে কবে সেনা সরানো হবে, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছুই জানা যায়নি।