সুকুমার সরকার, ঢাকা: এইবারের নির্বাচন জিতে ফের বাংলাদেশের মসনদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতায় ফিরে ‘বন্ধু’ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এবার সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে একসঙ্গে কাজ করবে দুই দেশ। শুরু হবে ডিজিটাল চ্যানেলে পেমেন্টও। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ঢাকার পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে ভারতও।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দিনদিন নতুন উচ্চতায় পৌঁছচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল চ্যানেলে পেমেন্ট চালুর কথা জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি আরও জানান, সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাংলাদেশ-ভারত একযোগে কাজ করবে। বৃহস্পতিবার তাঁর মন্ত্রকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠক করেন পলক। তার পর আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশের ‘টাকা পে’ও ভারতের ‘রুপি পে’-এর মধ্যে ডিজিটাল চ্যানেলে পেমেন্ট শুরু হবে। এতে অর্থপাচার বন্ধ হবে।”
[আরও পড়ুন: শুভেচ্ছা জানিয়েও ভোলবদল, হাসিনা সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছে না আমেরিকা!]
এদিনের বৈঠকের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের ফলে দুই দেশের জনগণ উপকৃত হয়েছে। দুই দেশের সহযোগিতায় তরুণদের কীভাবে আরও প্রযুক্তিনির্ভর ও কর্মমুখী করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ভারত পাশে থাকবে।”
বাংলাদেশের নতুন বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হাসান মাহমুদকে গত ১৪ জানুয়ারি অভিনন্দনবার্তা পাঠান ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রণয় বর্মা পরদিন মাহমুদের দপ্তরে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাঁকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন জয়শংকর। এর দুয়েক পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে হাসান মাহমুদ জানান, ভারতের বিদেশমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি নয়াদিল্লি যাচ্ছেন। এই সফর তিনদিনের হতে পারে। তবে সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আলোচ্য বিষয়বস্তুও ঠিক হয়নি। এসব নিয়ে এখনও কাজ চলছে। বিদেশমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর চিন নয়, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতেই যে তিনি বেশি আগ্রহী, তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মাহমুদ।
উল্লেখ্য, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক রক্তে গড়া। আক্ষরিক অর্থেই তাই। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে ভারতীয় ফৌজ। ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে প্রাণ আহুতি দেন তিন হাজার ভারতীয় জওয়ান। সেসমস্তই মুজিবকন্যা জানেন। দিল্লি পাশে না থাকলে পিতৃহন্তা রাজাকররা আবারও মাথাচাড়া দেবে এটাও তাঁর থেকে ভালো কে বোঝে। তাই ভারতকে পাশে নিয়েই চলায় বিশ্বাসী শেখ হাসিনা।