অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ৩৮৯/৪ (স্মিথ ১০৪, শামি ১/৭৩)
ভারত: ৫০ ওভারে ৩৩৮/৯ (বিরাট ৮৯, কামিন্স ৩/৬৭ )
অস্ট্রেলিয়া ৫১ রানে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়টা যেন কিছুতেই ভাল যাচ্ছে না ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একইভাবে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পর্যুদস্ত হল ভারতীয় দল। আর এই হারের সঙ্গে সঙ্গে সিরিজ তো হাতছাড়া হলই, পাশাপাশি বিরাটের অধিনায়কত্ব নিয়ে উঠল বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। সিডনিতে ফের একবার রান তাড়া করতে ব্যর্থ ভারতীয় দল। স্মিথ–ফিঞ্চ–ম্যাক্সওয়েলদের দাপটে অস্ট্রেলিয়া ৩৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেয় টিম ইন্ডিয়াকে। জবাবে বিরাটদের ইনিংস থেমে যায় ৫১ রান দূরেই। ব্যাট হাতে বিরাটের ৮৯ রানের ইনিংসও বাঁচাতে পারেনি দলের হার।
এদিন শুরু থেকেই ঠিক যেন প্রথম ম্যাচের হুবহু পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম কয়েকটা ওভার দুই ভারতীয় পেসারের সামনে একটু সাবধানে খেলা। সেট হওয়ার পরই প্রতি আক্রমণ। এবং দিনের শেষে বিশাল স্কোর। একই মাঠ, একই পিচ, আর একই কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঘটালের অজিরা। দুর্দান্ত অর্ধশতরান করলেন ফিঞ্চ (৬০) এবং ওয়ার্নার (৮৩)। আর ফের শতরান করলেন স্টিভ স্মিথ। সেটাও আগের দিনের মতোই ৬২ বলে পূর্ণ করলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ম্যাচ চলাকালীনই গ্যালারিতে অজি গার্লফ্রেন্ডকে বিয়ের প্রস্তাব ভারতীয় যুবকের, ভাইরাল ভিডিও]
হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে স্মিথ যখন আউট হলেন তখন অজিদের স্কোর ২৯২ তিন উইকেটে। ওভার মাত্র ৪১। শেষ ৯ ওভারে খেল দেখালেন ম্যাক্সওয়েল (৬৩) এবং লাবুশানে। ৬১ বলে লাবুশানে করলেন ৭০। আর ম্যাক্সওয়েল করলেন মাত্র ২৯ বলে দুর্দান্ত ৬৩ রান। শেষপর্যন্ত ভারতের সামনে ৩৯০ রানের বিশাল লক্ষ্যমাত্রা দেয় অস্ট্রেলিয়া।
জবাবে দলের ৬০ রানের মধ্যেই ফিরে যান দলের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান (৩০) এবং মায়াঙ্ক আগরওয়াল (২৮)। এরপর বিরাট এবং শ্রেয়স জুটি বাঁধেন। দু’জনে প্রায় ৯৩ রান যোগ করেন। কিন্তু ৩৮ রান করে আউট হন শ্রেয়স। এরপর রাহুলের সঙ্গে বিরাট জুটি বেঁধে রান তাড়া করতে থাকেন। কিন্তু ৮৯ রানে বিরাটকে ফেরান সেই হ্যাজেলউড। শেষদিকে রাহুল–হার্দিক চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। রাহুল করেন ৬৬ বলে ৭৬ রান। অজি বোলারদের মধ্যে দুরন্ত বোলিং করেন প্যাট কামিন্স। শেষদিকে হার্দিক–রাহুল দু’জনকেই ফেরান তিনি। শুরুতে আগরওয়ালকেও আউট করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে, হ্যাজেলউড নেন দু’টি উইকেট। শেষপর্যন্ত ৫১ রান দূরেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন! বিস্ফোরক অভিযোগ বাবর আজমের বিরুদ্ধে]
৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথমটি ইতিমধ্যেই হেরেছিল ভারত। আর মরণ–বাঁচন ম্যাচে এদিন ব্যাট হাতে অধিনায়ক বিরাট কিংবা সহ–অধিনায়ক রাহুলের লড়াইও কোনও কাজে এল না। আইপিএলে তেমন পারফর্ম না করা স্মিথ–ফিঞ্চ–ম্যাক্সওয়েলই এই দুই ম্যাচে দু’দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিলেন। যা নিয়ে ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়াতে মিম তৈরি হতেও শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে কেরিয়ারে অধিনায়ক হিসেবে নিজের আড়াইশোতম ম্যাচ খেলতে নামা বিরাটকে এদিন হেরেই মাঠ ছাড়তে হল। আর এরপরই জল্পনাও শুরু হয়েছে, তাহলে কি অধিনায়ক হিসেবে কোহলির শেষের শুরু? মুখ খুলতে শুরু করেছেন সমালোচকরাও। এমনিতেই আইপিএলের পর থেকেই নানা মহল থেকে রোহিতকে সীমিত ওভারের অধিনায়ক করা নিয়ে সওয়াল উঠেছে। এবার অস্ট্রেলিয়াতে ওয়ানডে সিরিজ হারায় বিরাটের উপর চাপ কিন্তু আরও বাড়ল, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।