সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাটের জামনগরে তৈরি হতে চলেছে পরম্পরাগত ওষুধের আন্তর্জাতিক কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে কেন্দ্র। শুক্রবারই WHO’র সঙ্গে যৌথ পরিচালনায় এই নতুন উদ্যোগে চুক্তিবদ্ধ হয় কেন্দ্রীয় আয়ুশ মন্ত্রক। গুজরাটের ইনস্টিটিউট অব ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ ইন আয়ুর্বেদা থেকে চলবে এর অন্তর্বর্তীকালীন কাজ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) টুইট করে এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর মতে, ”বিশ্বকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী করতে ও উন্নত বিশ্ব তৈরিতে আমরা অবদান রাখতে পারব।” WHO’র তরফেও ভারত সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক টুইটে বলেছে, আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাহায্যে পরম্পরাগত ওষুধগুলির মানোন্নয়নের পথে আরও খানিকটা এগিয়ে দেবে এই গ্লোবাল সেন্টার।
[আরও পড়ুন: মাটি কামড়ে পড়ে থাকাই লক্ষ্য, গোয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের]
জামনগরের এই প্রকল্পের জন্য ২৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে কেন্দ্র। ভারত সরকারের লক্ষ্য গোটা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পরম্পরাগত ওষুধ এবং ভারতের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাপদ্ধতিতে ব্যবহৃত ওষুধ নিয়ে গবেষণা করা। আসলে WHO’র হিসাব বলছে, এখনও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ আয়ুর্বেদিক ওষুধ ব্যবহার করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রিয়াসুস বলছেন,”বিশ্বের বহু মানুষের জন্য এখনও চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ আয়ুর্বেদিক ওষুধ। তাদের কাছে নিরাপদ ওষুধ পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।”
[আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদীদের স্বেচ্ছায় আশ্রয় দিলে বাজেয়াপ্ত হবে সম্পত্তি, কাশ্মীরে জঙ্গিদমনে কড়া দাওয়াই পুলিশের]
WHO’র ১৯৪টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৭০টিই আয়ুর্বেদিক চিকিৎসাকে স্বীকৃতি দেয়। সুতরাং, বিশ্বজুড়ে আয়ুর্বেদিক ওষুধের বিরাট বাজার রয়েছে। সেই বাজারকেই টার্গেট করছে ভারত সরকার। সেকারণেই গুজরাটের এই কারখানায় বিরাট বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে মোদি সরকার। রবিবার ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানেও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বাজার ধরার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে আরও একটা উৎসাহ ব্যঞ্জক ট্রেন্ড হল আয়ুশের বাজারে বিনিয়োগ অনেক বাড়ছে। অনেক স্টার্ট আপ শুরু হয়েছে।”