সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকার বদলের পর ভারতীয় পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশের একটা অংশ। যদিও বাস্তবে ভারতীয় পিঁয়াজের ঝাঁজে মজে গোটা বাংলাদেশ। এই পরিস্থিতিতে ইউনুস সরকার ভারতকে ইলিশ না দিলেও প্রতিবেশী দেশকে পিঁয়াজ রপ্তানিতে কোনও খামতি রাখছে না ভারত। যার জন্য পণ্য রপ্তানির কঠিন শর্তও শিথিল করা হল।
জানা যাচ্ছে, বিদেশে রপ্তানির জন্য পিঁয়াজের দাম প্রতি টন পিছু ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়েছিল ভারত সরকার। একইসঙ্গে চাপানো হয়েছিল ৪০ শতাংশ হারে রপ্তানি শুল্ক। তবে ডিরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড ঘোষণা করেছে দুই ক্ষেত্রেই শিথিল করা হচ্ছে পুরনো শর্ত। রপ্তানি শুল্ক অর্ধেক করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা নিজেদের রপ্তানির দাম নিজেরা ঠিক করতে পারবে। আসলে গত বছর লোকসভা ভোটের কারণে পিঁয়াজ-সহ অন্যান্য পণ্যের রপ্তানিতে লাগাম টানে ভারত সরকার। উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনের আগে বাজারে সব কিছুর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা। তাতে কিছুটা ধাক্কা খায় দেশের পিঁয়াজ রপ্তানিকারি ব্যবসায়ীরা। আগামী নভেম্বরে সবচেয়ে বড় পিঁয়াজ উৎপাদক রাজ্য মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন সেদিকে নজর রেখে পিঁয়াজ চাষি ও ব্যবসায়ীদের খুশি করতে মোদি সরকার পিঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল করছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে ভারত পিঁয়াজ পাঠালেও বাংলাদেশের প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা ঘোষণা করেছেন, এবার পুজোতে ভারতকে ইলিশ পাঠাতে রাজি নন তিনি। যদিও এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সরকারের কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ভারত ও বাংলাদেশ আমদানি, রপ্তানি সমযোতায় ভারতকে বছরে ৫ হাজার টন ইলিশ দেওয়ার কথা বাংলাদেশের। তবে হাসিনা সরকারের আমলে কোনও বছরেই ওই পরিমাণ ইলিশ ভারত নেয়নি। এদিকে গত বছর পিঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত বিধিনিষেধ আরোপ করলেও বাংলাদেশকে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। এবার ইলিশ না এলেও পিঁয়াজ নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্তে সুবিধা পেতে চলেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি রপ্তানি মূল্য কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে পিঁয়াজের দামও অনেকটা কমবে।
পিঁয়াজের পাশাপাশি আগেই ভারত থেকে ২ লক্ষের উপর ডিম পাঠানো হয়েছিল বাংলাদেশে। এবার আরও ৪৭ লক্ষ ডিম আমদানি করবে ঢাকা। তবে বাংলাদেশ থেকে ইলিশের উপর বিধিনিষেধে ক্ষুব্ধ ভারতের ব্যবসায়ীরা।