সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। তুঙ্গে ভোট প্রস্তুতি। জোর কদমে চলছে নির্বাচনী প্রচার। বিরোধী দল বিএনপি-জামাত আসন্ন এই ভোট প্রক্রিয়া বর্জন করছে। কিন্তু ২৮টি রাজনৈতিক দল ও বেশ কিছু স্বতন্ত্র প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এই আবহে ‘বন্ধু’ দেশে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে ভারত।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা ও পশ্চিমা বিশ্বের রক্তচক্ষুর নজরে পড়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। কিন্তু ঢাকার পাশে দাঁড়িয়েছে দিল্লি। ভারত ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, নির্বাচন উপলক্ষে তারা পর্যবেক্ষক পাঠাবে। ভারতের এই ঘোষণার পর রাশিয়া, চিন-সহ ৯টি দেশ নিশ্চিত করেছে যে তারাও পর্যবেক্ষক পাঠাবে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকার বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন।
এই বিষয়ে সেহেলী জানান, এখনও পর্যন্ত ৯টি দেশ ভারত, রাশিয়া, চিন, শ্রীলঙ্কা, জাপান, উজবেকিস্তান, মরিশাস, জর্জিয়া ও প্যালেস্টাইন পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি বিশেষজ্ঞ দল, ওআইসি, কমনওয়েলথ ও আরব পার্লামেন্টও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে। এদের মধ্যে ইইউর একটা এক্সপার্ট টিম এই মুহূর্তে বাংলাদেশে রয়েছে। তারা ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, নির্বাচন কমিশন বর্তমানে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের কাছ থেকে অ্যাক্রিডেশনের (অনুমতি) জন্য পাওয়া আবেদন পর্যালোচনা করছে। তাঁদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশে আসবেন তা কমিশন চূড়ান্ত করার পর জানা যাবে।
[আরও পড়ুন: ফের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে ঝরল রক্ত, দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত যুবক]
বলে রাখা ভালো, কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল বাংলাদেশের নির্বাচন দেখতে চান বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। যাঁদের মধ্যে ১৩১ পর্যবেক্ষক এবং ৪৮ জন সাংবাদিক রয়েছেন। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নির্ধারিত সময়ে ভোট প্রক্রিয়া দেখতে আগ্রহী ১৭৯ জন আবেদন করেছেন। নির্বাচন কমিশন সচিব মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম এই তথ্য দিয়েছিলেন। ইসির দেওয়া অনুমোদন সাপেক্ষে তাঁরা পর্যবেক্ষক হিসাবে আসতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের সূত্র জানিয়েছিল, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেখার জন্য ৩৪টি দেশের নির্বাচন কমিশন ও ৪টি সংস্থার ১১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রিতদের মধ্যে রয়েছেন সার্ক ও ওআইসির মহাসচিব, ফেম্বোসা ও এ-ওয়েব চেয়ারপার্সনও। তাঁদের স্থানীয় যাতায়াত ও থাকা-খাওয়ার সব ব্যয় বহন করবে ভোট আয়োজনকারী সংস্থাটি।