সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তিন পাকিস্তানি জঙ্গির (Pakistani Terrorist)। কিন্তু ভারতীয় সেনার বিশেষ নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় জঙ্গিদের সীমান্ত পেরনোর দৃশ্য। তারপরেই উরি সংলগ্ন এলাকায় ওই তিন জঙ্গির সঙ্গে স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের (Indian Army) গুলিতেই নিকেশ হয়েছে তিন জঙ্গি।
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ করার পরে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন সেনা কর্তারা। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, “তিনজন জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়েছে। তাদের মৃতদেহ এবং অন্যান্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কিনা, তা বুঝতে ওই এলাকায় আপাতত তল্লাশি চালানো হচ্ছে। আমাদের ধারণা, ভারতে অনুপ্রবেশ করার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছিল ওই জঙ্গিরা। তাদের শারীরিক গঠন দেখে মনে হচ্ছে, সেনাবাহিনীর বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা।” উরির ওই অঞ্চলে বেশ বড় এলাকা জুড়ে মাটির তলায় মাইন পুঁতে রেখেছিল জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: বড় স্বস্তি যোগীর, সাম্প্রদায়িক হিংসার সব মামলা থেকে রেহাই দিল সুপ্রিম কোর্ট]
সেনার তরফে বলা হয়েছে, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করা হয়েছে। উরির ওই অঞ্চলে প্রচণ্ড কুয়াশা এবং বৃষ্টির মধ্যেই জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই চলে সেনার। জানা গিয়েছে, বিএসএফের তরফে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তাছাড়াও, বৈদ্যুতিনভাবে নজরদারি চালানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছিল সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। সব মিলিয়েই নাশকতা চালানোর আগেই ধরা পড়ে গিয়েছে তিন জঙ্গি।
পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ সম্পর্কে ভারতের মেজর জেনারেল অজয় চাঁদপুরিয়া বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই আখনুর, রাজৌরি এবং কুপওয়ারা সেক্টরে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ করতে পাকিস্তান যে একেবারেই উদ্যোগী নয়, এহেন ঘটনাতেই তা স্পষ্ট। ভারতে ঢোকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক জঙ্গিরা।
আরও জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ন’টা নাগাদ জঙ্গিরা সীমান্ত (LoC) পার করে ভারতে ঢোকে। সেনার নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় জঙ্গিদের গতিবিধি। তারপরেই স্থানীয় সেনাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়। শুরু হয় গুলির লড়াই। বেলা দু’টো নাগাদ অভিযান শেষ করে সেনা। তল্লাশি চালিয়ে তিন জঙ্গির মৃতদেহ ছাড়াও দু’টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি চিনা এম-১৬ রাইফেল পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে নতুন নজরদারি ব্যবস্থা।