সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেনশন, বিমা পরিষেবা-সহ দশ দফা দাবিতে ধর্মঘটে বসেছিলেন ভুবনেশ্বরের (Bhubaneshwar) অটোচালকরা। শহরের দশ হাজার অটোচালক এই ধর্মঘটে শামিল হন। একাধিক সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত দাবির পাশাপাশি অটোচালকদের অন্যতম অভিযোগ ছিল, বাস ও ট্যাক্সি চালকরা তাঁদের অপমান করেন। কটক (Cuttack) ও পুরীর (Puri) বিশাল সংখ্যক অটোচালকরাও ধর্মঘটে শামিল হন।
বুধবার ওড়িশার প্রায় ৫ লক্ষ বাস ও ট্যাক্সি চালক সম্মিলিতভাবে ধর্মঘটের ডাক দেন। তাঁদের দাবি ছিল, অবসরের পর পেনশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়াও বিমা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ক্ষেত্রেও সুযোগ সুবিধার দাবিতে ধর্মঘটে শামিল হন তাঁরা। তাছাড়াও ধর্মঘট সমর্থনকারীদের দাবি ছিল, সমাজে সম্মানের সঙ্গে তাঁদের বেঁচে থাকার অধিকার দিতে হবে। যানবাহনের একটা বড় অংশ ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার ফলে বিপাকে পড়েন পর্যটকরা।
[আরও পড়ুন: বীরভূমের নদীতে সোনা! কুড়োতে হুড়োহুড়ি গ্রামবাসীদের]
সমস্ত চালকদের বাধ্যতামূলক ভাবে ধর্মঘটে শামিল করানো হয়। তার মধ্যেও কয়েকজন অটোচালক যাত্রীদের পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অটোচালকদের হেনস্তা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার আলাদাভাবে ধর্মঘটের ডাক দেন অটোচালকরা। পরপর দুই দিন পরিবহন ব্যবস্থা কার্যত অচল থাকার কারণে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ।
অবশেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানবাহন বন্ধ থাকার পরে অটোচালকদের নিয়ে বৈঠকে বসে প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পরে ধর্মঘট তুলে নিতে রাজি হন অটোচালকরা। আপাতত হেনস্তা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ থানায় জমা পড়বে। সেখান থেকেই অভিযোগের তদন্ত করা হবে। তবে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।