সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্তানদের খুন করে আত্মহত্যা করবেন ঠিক ছিল! সেই জন্যেই গরিবের ভালোমন্দ ডিম-ভাত রান্না হয়েছিল। পেট ভরে খাওয়া দাওয়ার পরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে একসঙ্গে তিন মেয়েকে খুন করেন বাবা। এরপর নিজেও আত্মহত্যা করেন। দুই ছেলেকেও মারতে চেয়েছিলেন। যদিও ভাগ্যের জোরে তারা বেঁচে যায়। বিহারের মুজফ্ফরপুরের পরিবারটির ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি, তীব্র অভাবের কারণেই সন্তানদের হত্যা করে আত্মহত্যা করেছেন যুবক।
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে মুজফ্ফরপুরের একটি গ্রামের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় অমরনাথ রামের দেহ। একই অবস্থায় তাঁর তিন মেয়ে ১২ বছরের অনুরাধা, ৭ বছরের শিবানী এবং ৬ বছরের রাধিকা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। জখম অবস্থায় পাওয়া যায় দুই ছেলে ৬ বছরের শিবম এবং ৫ বছরের চন্দনকে। ৩৫-৩৬ বছরের অমরনাথ ছোটখাটো কাজ করতেন। স্ত্রী গত বছর মারা যান। স্থানীয়দের দাবি, এরপর থেকে মাঝমাঝে অমরনাথ অস্বাভাবিক আচরণ করতেন।
তদন্তকারীরা বলছেন, পাঁচ সন্তানকে লোহার ট্যাঙ্কের উপর দাঁড়ি করিয়ে গলায় প্রয়াত স্ত্রীর একাধিক শাড়ি পেঁচিয়ে অমরনাথ। এরপর ছেলেমেয়েদের ট্যাঙ্কের উপর থেকে লাফ দিতে বলেন। নিজে ঝাঁপ দেন। এভাবেই অমরনাথ এবং তিন মেয়ের মৃত্যু হয়। যদিও শিবম বাবার কথায় গলায় ফাঁস দিলেও পরে মাথা বের করে নেয়। চন্দনের গলা থেকে ফাঁস খুলে যায়। দু'জনেই ট্যাঙ্ক থেকে পড়ে গেলেও বেঁচে যায়।
স্থানীয়দের বক্তব্য, দেনার দায়েই গণ আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অমরনাথ। কেউ কেউ বলছেন মোটা টাকা ঋণ নিয়েছিলেন মৃত ব্যক্তি। শোধ করতে না পেরেই ছেলেমেয়েদের খুন করে আত্মহত্যার ছক কষেন। অনেকে আবার মানসিক সমস্যার কথা বলছেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করছে।
