সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুদূর চিন থেকে করোনার ত্রাস ছড়িয়েছে এ দেশেও। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন শহরে ভরতি হয়েছেন রোগীরা। আতঙ্ক গ্রাস করছে সাধারণ মানুষকে। আর সেই আতঙ্কই প্রাণ নিল এক প্রৌঢ়র। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার এক গ্রামের বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ভেবে আত্মঘাতী হলেন।
গত মাসে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান চিন থেকে ৩২৪ জন ভারতীয়কে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। যাঁদের মধ্যে ৫৬ জনই অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা। ৫৩ জন তামিলনাড়ু এবং ৪২ জন কেরলের। স্বাভাবিকভাবেই সে সব রাজ্যেও ছড়ায় করোনার আতঙ্ক। এরই মধ্যে চিত্তোর জেলার ওই ব্যক্তির শরীরের এমন কিছু লক্ষণ লক্ষ্য করা যায়, যা করোনা ভাইরাসের দিকেই ইঙ্গিত করে। নিশ্চিত হতে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন বছর চুয়ান্নর ওই প্রৌঢ়। চিকিৎসকরা জানান তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করেনি। তবে একটি বিশেষ সংক্রমণের জন্য তাঁকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে প্রৌঢ়ের মনে। এরপর থেকে তাঁকে আচরণে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন স্থানীয়রা। এমনকী, এলাকার বাসিন্দাদের প্রৌঢ় সতর্ক করেন, প্রত্যেকে যেন তাঁর থেকে দূরত্ব বজার রাখে। নাহলে গোটা গ্রামে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। অবশেষে সোমবার আতঙ্ক থেকে মুক্তি পেতে এবং নিজের গ্রামকে বাঁচাতে আত্মহননের পথ বেছে নেন প্রৌঢ়।
[আরও পড়ুন: নাম বদল করোনা ভাইরাসের, দেড় বছরের মধ্যেই আবিষ্কৃত হবে টিকা!]
তাঁর ছেলে জানান, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার পর থেকেই প্রৌঢ়ের মনে হয়েছিল, তিনি করোনায় আক্রান্ত। তারপর থেকেই বারবার তিনি বলতে থাকেন, গ্রামবাসীদের রক্ষা করতে তাঁকে আত্মহত্যাই করতে হবে। হাজার বোঝানো সত্ত্বেও পরিবারের কথা শোনেননি তিনি। মাস্ক পরার আতঙ্কই প্রাণ নিল তাঁর।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চিনে মারা গিয়েছেন ১০৮ জন। চার হাজার জন নতুন করে আক্রান্ত হন। চিনের হুবেই প্রদেশেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। ভাইরাস সংক্রমণে বিপজ্জনক ৩০টি দেশের মধ্যে রয়েছে ভারতও। তবে স্বস্তি একটাই। WHO-এর তরফে জানানো হয়েছে, আর দেড় বছরের মধ্যে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে ফেলবেন বিজ্ঞানীরা।
[আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পাশে দাঁড়াল ভারত, প্রশংসায় পঞ্চমুখ চিন ]
The post করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সন্দেহের বশে গ্রামবাসীদের বাঁচাতে আত্মঘাতী প্রৌঢ় appeared first on Sangbad Pratidin.
