সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পথে হেঁটে শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কটের সিদ্ধান্ত আরও পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের পাশাপাশি তেলেঙ্গানা, বিহার, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী যথাক্রমে কে চন্দ্রশেখর রাও, নীতীশ কুমার, ভগবন্ত মান, অশোক গেহলট এবং সিদ্দারামাইয়াও নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিলেন না। অনুপস্থিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নও। উল্লেখ্য, নীতি আয়োগের বৈঠকে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ নিয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[আরও পড়ুন: এবার সিলেবাস থেকে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র গীতিকারকে সরানোর প্রস্তাব! বাড়ছে বিতর্ক]
বৈঠক বয়কট করে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। জানান, সহযোগিতাপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এখন একটা উপহাস মাত্র। সুতরাং, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া অর্থহীন। তাঁর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও শোনা গিয়েছিল একই সুর। যদিও তিনি প্রতিনিধি হিসেবে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে তা নাকচ করে নীতি আয়োগ কমিটি। ফলে বাংলাও বৈঠক বয়কট করে। এবার আরও দীর্ঘায়িত হল অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের এই তালিকা।
একাধিক মুখ্যমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর করুণ পরিস্থিতিকে এই বয়কটের কারণ হিসেবে তুলে ধরলেও গেহলট এবং সিদ্দারামাইয়া বৈঠকে যোগ না দেওয়ার অন্য কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী জানান, অসুস্থতার কারণে তিনি দিল্লি যেতে পারছেন না। আবার কর্ণাটকের নয়া মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেন, মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানের জন্য বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি।