সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেলুগু দেশম পার্টির (Telugu Desam Party) প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ডুর (Chandrababu Naidu) রোড শোয়ে পদপিষ্ট হয়ে অন্তত আট জনের মৃত্যু হল। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলা রয়েছে। আহত দশজনেরও বেশি। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) নেল্লোরের কান্দুকুরে রোড শো ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর। দিন কয়েক ধরেই এই রোড শো ঘিরে ছিল প্রবল উন্মাদনা। এদিন সকাল থেকেই দলের কর্মী সমর্থকদের ভিড় জমা হচ্ছিল। পুলিশের দাবি, অত্যাধিক কর্মী-সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কিতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রোডশোটি যাওয়ার সময় ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। তার জেরেই বহু মানুষ একটি খালে পড়ে যান। নিহতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে টিডিপি (TDP)। একই সঙ্গে চন্দ্রবাবুর প্রতিশ্রুতি, যে সকল কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে তাঁদের সন্তানদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে দল।
[আরও পড়ুন: এবার ত্রিপুরাতেও বাম-কংগ্রেস জোট! প্রস্তাবে সায় সিপিএম পলিটব্যুরোর]
সম্প্রতি চন্দ্রবাবু নাইডুর রোড শো নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডির (Jagan Mohan Reddy) সরকারের বিরুদ্ধে নানা জনবিরোধী কাজের অভিযোগ তুলে রাজ্য জুড়ে ‘রোড শো’ করেছেন বিরোধী দলনেতা। এর জেরে শাসকদল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের (YSR Congress) সঙ্গে টিডিপির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষও হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এমনকী গত ১৭ ডিসেম্বরে টিডিপি এবং ওয়াইএসার কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের একটি সংঘর্ষে দুই দলের বেশ কয়েক জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এবার চন্দ্রবাবু নাইডুর রোড শোয় দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ দলীয় সমর্থকদের অতি উৎসাহ, এমনটাই জানা গিয়েছে প্রশাসন সূত্রে।
[আরও পড়ুন: বিয়ের জন্য কেমন মেয়ে পছন্দ? অবশেষে মনের কথা জানালেন রাহুল গান্ধী]
প্রসঙ্গত, এর আগে তেলেগু দেশম পার্টির (TDP) প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। কোভিডের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে লকডাউনের নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছিল অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। তবে এবার ঘটনা মর্মান্তিক রূপ নিয়েছে। শাসক দল ওয়াইএসআর কংগ্রেসের অভিযোগ, এই ঘটনায় তেলেগু দেশম পার্টি ও তাদের নেতা চন্দ্রবাবু নাইডুর দায়িত্বজ্ঞানহীনতাই সামনে এসেছে।