সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গলা অবধি দেনায় ডুবে ছিলেন। বারবার মন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। ঋণ মকুব তো দূর, লাফিয়ে বেড়েছে সুদের হার। দেনা শোধ করতে না পারায় নিলামে তুলে দেওয়া হয় বাড়িটাও। শেষ ভরসা হিসাবে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিল গোটা পরিবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কর্নাটক (Karnataka) বিধানসভার সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন একই পরিবারের ৮ সদস্য। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মহিলা ও শিশুরাও। আপাতত আটক করা হয়েছে পরিবারের সকল সদস্যকে।
পরিবার সূত্রে খবর, ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে আদার চাষ শুরু করেছিলেন। কিন্তু একেবারেই লাভ হয়নি সেখানে। ফলে দেনা মেটানো কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়ে তাঁদের পক্ষে। এহেন পরিস্থিতিতে বারবার কর্নাটকের মন্ত্রী জামির আহমেদ খানের সঙ্গে দেখা করে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিল দেনাগ্রস্ত পরিবারটি। কিন্তু সুরাহা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত ওই পরিবারের বাসভবনটি নিলামে তুলে ঋণ শোধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: ৫ বছরে ২ লক্ষ কোটি বিনিয়োগ গুজরাটে, ১ লক্ষ চাকরি! বড় ঘোষণা আদানির]
তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার কাছে বিচার চাইতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন পরিবারের সদস্যরা। সেই মতো বুধবার পৌঁছে যান কর্নাটক বিধানসভায়। পরিবারের এক মহিলা সদস্য জানান, “মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চাইতে এসেছি। আপাতত আমাদের রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে। বাচ্চাদের খাবার কিনে দেওয়ার পয়সাটুকুও নেই। মন্ত্রী জামি আহমেদ খান আমাদের আশ্বাস দিলেও কোনও উপকার হয়নি।”
এই কথা বলার পরেই কর্নাটকের বিধান সৌধের সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেন পরিবারের সব সদস্যরা। আট সদস্যের মধ্যে ছিলেন মহিলাও শিশুরাও। তবে সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের সকলকে আটক করেছে পুলিশ। আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।