সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটমুখী দিল্লিতে যমুনা যেন 'কুমিরের ছানা'। গতবার বিধানসভা নির্বাচনের পর এবারও আম আদমি পার্টির ইস্তেহারে সেই যমুনা পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি। দিল্লির বাজি জিততে সোমবার ইস্তেহার প্রকাশ করা হয়েছে আপের তরফে। সেখানে আপ ক্ষমতায় এলে দিল্লির জনগণের জন্য ১৫টি গ্যারান্টি দিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেখানেই ঘুরে ফিরে এল স্বচ্ছ যমুনার কথা।
আপের প্রকাশিত ইস্তেহারে সবার প্রথমে রয়েছে বেকার সমস্যার সমাধানের কথা। তিনি জানান, ক্ষমতায় আসার পর দিল্লির বেকার যুবকরা যাতে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পান সেই ব্যবস্থা করবেন তিনি। ২. মহিলা সম্মান যোজনা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুকরণে এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের মহিলারা প্রতিমাসে ২,১০০ টাকা করে সরকারি অনুদান পাবেন। ৩. সঞ্জীবনী যোজনা। যার মাধ্যমে সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিকরা বিনামূল্যে চিকিৎসা পাবেন। চতুর্থ ও পঞ্চম প্রতিশ্রুতিতে আপ জানিয়েছেন, যারা বেশি টাকা জলের বিল পেয়েছেন সেই টাকা মুকুব করা হবে। এবং ২৪ ঘণ্টা জলের পরিষেবা পাবেন দিল্লিবাসী।
এছাড়া দিল্লিতে ইউরোপীয় মানের রাস্তা ও তা রক্ষণাবেক্ষণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। সাত নম্বরে ফের যমুনা পরিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপ। এছাড়া ডঃ আম্বেদকর স্কলারশিপ যোজনা, পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বাসযাত্রা, মেট্রোয় ৫০ শতাংশ ছাড়, পূজারী ও গ্রন্থী যোজনা (মাসে ১৮ হাজার টাকা অনুদান), ভাড়াটেদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ ও জল, পুরানো নিকাশী লাইন প্রতিস্থাপন, নতুন রেশনকার্ড পাওয়ার উইন্ডো, অটোওয়ালা ও রিকশ চালকদের জন্য ১০ লক্ষ টাকার জীবন বিমা এবং ৫ লক্ষের দুর্ঘটনা বিমা, মেয়ের বিয়ের জন্য এক লক্ষ টাকা ও সন্তানদের বিনামূল্যে কোচিং এবং RWAতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন।
তবে এই ১৫ দফা প্রতিশ্রুতিতে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে যমুনা পরিষ্কার। গতবারের পর এবারও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেজরি। এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও কেজরি নিজেও জানিয়েছেন, ২০২০ সালের ইস্তেহারে আমরা তিনটি গ্যারান্টি পূরণ করতে পারিনি। এবারের ইস্তেহারে সেগুলি রাখা হয়েছে। কারণ সেই সময় কোভিডের কারণের কাজ প্রভাবিত হয়েছিল। এবং মিথ্যে মামলায় আমি জেলবন্দি হই। তবে এবার ক্ষমতায় এলে এই সব প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করব।
