সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'লাউড স্পিকার বাজানো কোনও মৌলিক অধিকার নয়'। এই যুক্তিতে মসজিদে লাউড স্পিকার বাজানোর অনুমতি দিল না বোম্বে হাই কোর্ট। স্পষ্ট ভাষায় আদালত জানিয়েছে, লাউড স্পিকারকে কোনওভাবেই ধর্মীয় মৌলিক অধিকার হিসেবে গণ্য করা যায় না। কোনও ধর্মগ্রন্থে লেখা নেই লাউড স্পিকারের মাধ্যমেই নামাজ পড়তে হবে।
মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়া জেলার মসজিদ গাউসিয়ায় নামাজের জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল বোম্বে হাই কোর্টে। সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের উদ্ধৃতি টেনে হাই কোর্ট জানায়, কোনও ধর্মই অন্যের শান্তি বিঘ্নিত করে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় না। লাউড স্পিকারের মাধ্যমেই নামাজ পড়তে হবে, এ কথা ধর্মগ্রন্থের কোথায় লেখা রয়েছে! এছাড়াও এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, যে কোনও নাগরিকের শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসের অধিকার রয়েছে। বিশেষ করে ছোট শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ এবং মানসিক চাপে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদেরও।
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অনিল পানসারে এবং রাজ ওয়াকোডের বেঞ্চ জানায়, "আবেদনকারী প্রমাণ করতে পারেননি যে লাউডস্পিকার ধর্মীয় অনুশীলনের জন্য অপরিহার্য। অতএব, আবেদনকারী লাউডস্পিকার স্থাপনের অধিকার দাবি করতে পারবেন না। আবেদনটি খারিজ করা হল।"
একইসঙ্গে লাউডস্পিকারের মাধ্যমে এই ধরনের ধর্মীয় আচারকে 'শব্দ দূষণ' বলে উল্লেখ করে আদালত। শব্দদূষণ যে মানুষের জন্য একটি গুরুতর বিষয় সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এটি ক্রমাগত 'ফাইট ও ফ্লাইট' পরিস্থিতি তৈরি করে, শরীরে কর্টিসল এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক রাসায়নিকের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক, বিরক্তি, ক্লান্তি, মাথাব্যথা এবং রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সমস্ত বিষয় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে আদালত মহারাষ্ট্র সরকারকে এই বিষয়ে সংবেদনশীল হতে এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।
