সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানে এখনও বিপর্যস্ত উত্তরকাশী। ধারাবাহিক বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। আবহাওয়া দপ্তর থেকে উত্তরাখণ্ডের বিজিন্ন জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, হড়পা বানের জেরে হারশিলে ভেসে গিয়েছে একটি সেনা ক্যাম্পও। নিখোঁজ অন্তত ১০ জওয়ান। ধস নেমে, জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। নিখোঁজ কমপক্ষে ৫০ জন।
একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জলের তোড়ে বাড়ি ভেসে গিয়েছে। ধারালির একটা গ্রামের প্রায় অর্ধেক জলের তলায়। উদ্ধারকারীদের আশঙ্কা, এখনও বহু মানুষ আটকে পড়ে রয়েছেন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ। এমনকী হেলিকপ্টার পর্যন্ত ল্যান্ড করতে পারছে না। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হলেও তা টানা বৃষ্টির জন্য বাধা পেয়েছে। এর মধ্যেই হরিদ্বার, নৈনিতাল ও উধম সিং নগরে বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্য অঞ্চলগুলিতে রয়েছে কমলা সতর্কতা।
দেরাদুনের স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ। এছাড়া নৈনিতাল, তেহরি, চামোলি, রুদ্রপ্রয়াগ, আলমোরা বা বাগেশ্বর জেলা কার্যত অবরুদ্ধ। উত্তরাখণ্ড জুড়ে অন্তত ১৬৩টি রাস্তা বন্ধ। তার মধ্যে আছে পাঁচটি জাতীয় সড়ক ও সাতটি রাজ্য সড়ক। রাজধানী দেরাদুন থেকে ১৪০ কিলোমিটার দূরের দুটি সীমান্তবর্তী সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুর্গমস্থানে উদ্ধারকার্য চালাতে আরও সমস্যা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) মৃতদেহ খোঁজার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরদের কাজে নামিয়েছে। উত্তরাখণ্ডের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩৫ সদস্যের তিনটি উদ্ধারকারী দল ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পাঠানো রয়েছে। আরও দুটি দলকে দ্রুত উদ্ধারে পাঠানো হবে। রুদ্রপ্রয়াগের অলকানন্দা নদীর জল বিপদসীমার কাছে রয়েছে। যে কারণে কেদারনাথ তীর্থযাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। দেবভূমির উত্তরকাশীর ধারালি গ্রামের হাড়হিম করা ভিডিও দেখে শিউরে উঠছে নেটিজেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, হড়পা বানে বহু বাড়িঘর তো বটেই, গ্রামে থাকা অন্তত ২০-২৫টি হোটেল এবং হোমস্টে ভেসে গিয়েছে।
