সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার সন্ধ্যেয় তৃতীয় বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। সেই শপথ গ্রহণের আগে হবু মন্ত্রীদের নিয়ে নিজের বাসভবন ৭ লোক কল্যাণ মার্গে চা চক্র সারলেন তিনি। মোদির এই চা চক্রে বাংলা থেকে সুকান্ত মজুমদার, শান্তনু ঠাকুরদের পাশাপাশি উপস্থিতি ছিলেন বিজেপি ও এনডিএ'র শরিক দলের একঝাঁক নেতৃত্ব। সেখানেই হবু মন্ত্রীদের আগামী ১০০ দিনের টার্গেট দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, মোদির (Narendra Modi) এই চা চক্রে এদিন উপস্থিত ছিলেন ৪১ জন সম্ভাব্য মন্ত্রী। আমন্ত্রিত তালিকায় সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে বিহার (Bihar) থেকে। উপস্থিত ছিলেন, বিহারের নব নির্বাচিত এলজেপি সাংসদ চিরাগ পাসওয়ান, হাম সাংসদ জিতেন রাম মাঝি, জেডিইউ-এর রামনাথ ঠাকুর, মুঙ্গেরের সাংসদ লালন সিং। এছাড়াও বিহারের বেগুসরাইয়ের বিজেপি সাংসদ গিরিরাজ সিং, জনার্দন সিং সিগ্রিওয়াল, কর্নাটকের জেডিএস নেতা কুমারস্বামী। এছাড়া ঝাড়খণ্ড থেকে নিশিকান্ত দুবে, বিষ্ণু দয়াল রাম এবং অন্নপূর্ণা দেবী। মনে করা হচ্ছে ঝাড়খণ্ডের কোডরমা কেন্দ্র থেকে জয়ী এই বিজেপি সাংসদকে প্রথমবার মন্ত্রিসভার টিকিট দিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। এর পাশাপাশি মোদির বাসভবনে এই চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ। এখানে নাড্ডাকে মন্ত্রক দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও এস জয়শংকর, নির্মলা সীতারমন, নীতীন গড়করি, কিরণ রিজিজু, রাজনাথ সিং, সর্বানন্দ সোনোয়াল, জি কিষান রেড্ডি, পীযূষ গোয়েল, ধর্মেন্দ্র প্রধান, হরদীপ সিং পুরী, মনসুখ মান্ডব্য, মনোহরলাল খট্টর, শিবরাজ সিং চৌহান, অর্জুন রাম মেঘওয়াল, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধ্রিয়া, পঙ্কজ চৌধুরী, রাও ইন্দ্রজিত সিং, বিএল বর্মার মতো নেতৃত্বদেরও উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
[আরও পড়ুন: মোদির শপথে চাঁদের হাট, থাকবেন মুইজ্জু,হাসিনা-সহ ৭ রাষ্ট্রপ্রধান, রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
হবু মন্ত্রীদের এদিন প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, মন্ত্রী হওয়ার পর ১০০ দিনের টার্গেট নিয়ে মাঠে নামতে হবে সকলকে। যিনি যে মন্ত্রক পাবেন এই ১০০ দিনের মধ্যে সেই মন্ত্রকের সমস্ত বকেয়া কাজ শুরু করতে হবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব তা শেষ করতে হবে। আগামী ৫ বছরের রোডম্যাপ এখন থেকে তৈরির নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। আমাদের সরকারের লক্ষ্য ২০৪৭ সালের ভারতকে এক উন্নত ভারতে পরিণত করা। এনডিএ-তে জনগণের আস্থা রয়েছে। এবং সেই আস্থা আমাদের আরও জোরদার করতে হবে। প্রসঙ্গত, নির্বাচনে হারলেও স্মৃতি ইরানিকে মন্ত্রী করা হতে পারে জল্পনা শুরু হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে অবশ্য স্মৃতির দেখা মেলেনি। পাশাপাশি, নির্বাচন জিতলেও এবার সম্ভবত মন্ত্রী তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন অনুরাগ ঠাকুর। চা চক্রে তাঁর অনুপস্থিতি সে বার্তাই দিচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিদায় নাড্ডার! বিজেপির নতুন সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে কারা?]
উল্লেখ্য, রবিবার সন্ধ্যে ৭.১৫ নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এই বিশেষ অনুষ্ঠান উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানীকে। জানা গিয়েছে, হাই প্রোফাইল অতিথিদের জন্য হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে গোটা দিল্লিতে। হোটেলগুলোতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা রয়েছে। হোটেল থেকে রাষ্ট্রপতি ভবনে যাওয়ার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানে অতিথিদের তালিকায় সবচেয়ে নজরকাড়া নাম মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে ‘শত্রুতার’ সম্পর্ক হয়েছে তাঁর। কিন্তু মোদির আমন্ত্রণে ভারতে আসছেন তিনি। এছাড়াও হাজির থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংহে, নেপালের পুষ্পকমল দাহাল, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে ও মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ যুগনাথ, সেশেলসের ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ আফিফ।