সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেললাইন পারাপারের সময় বিপত্তি। ফের ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল একটি স্ত্রী হাতি (Elephant) এবং দু’টি হস্তিশাবকের মৃত্যু হয়েছে। এবার ঘটনাস্থল তামিলনাড়ুর নাভাক্কারাই। দুর্ঘটনা নাকি হাতিদের মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শুক্রবার তখন ঘড়ির কাঁটায় রাত ৯টার আশেপাশে হবে। ম্যাঙ্গালুরু-চেন্নাই এক্সপ্রেস তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) মাভুথামপাথি গ্রামের কাছে নাভাক্কারাই দিয়ে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় নিজের দুই শাবককে সঙ্গে নিয়ে রেললাইন পারাপার করছিল একটি স্ত্রী হাতি। দ্রুত গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের সঙ্গে তিন হাতির ধাক্কা লাগে।
[আরও পড়ুন: KMC Election: ফিরহাদ-অতীন-দেবাশিসে ভরসা, পুরভোটে তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন ৬ বিধায়ক]
খবর পাওয়ামাত্রই রেল এবং বনাধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। হাতি তিনটির দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ‘বি’ লাইন থেকে একটি হাতির দেহ উদ্ধার হয়। তার আশেপাশ থেকে আরও দু’টি দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় প্রাণহানি নাকি অন্য কোনও কারণ, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, রেললাইন পারাপার করতে গিয়ে হাতির মৃত্যুর ঘটনা তামিলনাড়ুতে নতুন নয়। চলতি বছরের মার্চে পালাক্কাড় এবং কোয়েম্বাটুরের মাঝখানে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ যায় একটি হাতির। তার আগে ২০১৬ সালে মাদুক্কারাইতে ট্রেনের ধাক্কায় একটি স্ত্রী হাতির মৃত্যু হয়। তামিলনাড়ুর মতোই অসমেও ট্রেনের ধাক্কায় হাতির মৃত্যু ঘিরে শোরগোল শুরু হয়। ২০০১ সালে অসমের ডিগবয় শহরের কাছে বোগাপানিতে ট্রেনের ধাক্কায় অন্তত দশটি হাতির প্রাণহানি হয়। এই ঘটনায় তদন্তও হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এলিফ্যান্ট করিডর হওয়া সত্ত্বেও দুর্ঘটনাস্থল দিয়ে দ্রুত গতিতে ট্রেনটি যাওয়ার ফলে বিপত্তি ঘটে।